নতুন এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান
শিক্ষকদের সনদ যাচাইয়ে কমিটি গঠন
প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
সম্প্রতি এমপিওভুক্ত হওয়া প্রায় তিন হাজারের বেশি স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতার যাবতীয় সনদ যাচাইয়ের উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ জন্য কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বছর দুই হাজার ৭০০ এবং চলতি বছর ২৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়। অভিযোগ ওঠে এমপিওভুক্তির নীতিমালা উপেক্ষা করে প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। এ কারণে এমপিওভুক্ত হওয়া সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের যাবতীয় সনদ ও নথিপত্র যাচাই-বাছাইয়ের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং সংস্থার ৯টি আঞ্চলিক কার্যালয় ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার পাশাপাশি বড় বড় সরকারি কলেজের অধ্যক্ষরাও সনদ যাচাইয়ের কাজে সহায়তা করবেন। আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোকে নির্দেশনা দেবে মাউশি। এরইমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি আঞ্চলিক কার্যালয় বিভাগীয় এবং জেলা কমিটিও গঠন করেছে।
মাউশি থেকে নির্দেশনা পাওয়ার পর রাজশাহীর আঞ্চলিক অফিস থেকে আঞ্চলিক পরিচালককে (অধ্যাপক) আহবায়ক করে একটি এবং জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রধান করে প্রতি জেলায় একটি করে কমিটি গঠন করা হয়। এসব কমিটিই নিজ নিজ অঞ্চল ও জেলা পর্যায়ে নতুন এমপিওভুক্ত হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক-কর্মকর্তার যাবতীয় সনদ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে।
গত ১৪ মার্চ এই কমিটি গঠনের বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান/স্তর এমপিও কোড পাওয়ার পর প্রতিষ্ঠানের পাঠদান, একাডেমিক স্বীকৃতি, এমপিও কোড ও অন্যান্য কাগজপত্র এবং ব্যক্তি এমপিওর ক্ষেত্রে শিক্ষক-কর্মচারীদের সব পরীক্ষার সনদ/মার্কশিট, এনটিআরসিএ নিবন্ধন (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), এনটিআরসিএ মূল সুপারিশ ও নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্রের মূলকপি যাচাই-বাছাই করার নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের জন্য নির্দেশক্রমে কমিটি মনোনয়ন প্রদান কার হলো।
এ প্রসঙ্গে মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, নতুন এমপিওভুক্ত হওয়া স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের সনদ যাচাই-বাছাই করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আমাদের নির্দেশ দিয়েছে। আমরা সেই নির্দেশনার প্রতিপালন করছি। সনদগুলো কড়াভাবে যাচাইয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সনদ যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে কাউকে হয়রানি করা যাবে না। কোন আঞ্চলিক কর্মকর্তা কিংবা কেউ যদি সনদ যাচাইয়ের নামে টাকা বা ঘুষ দাবি করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।