জবি শিক্ষকদের মানববন্ধন
গুচ্ছে গেলে ভর্তি পরীক্ষায় কাজ না করার হুঁশিয়ারি
প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
জবি প্রতিনিধি
২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলে কাজ না করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষকরা।
গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে অনুষ্ঠিত হওয়া মানববন্ধন থেকে এ হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। এ সময় মানববন্ধনে শিক্ষকদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মাচারীরাও অংশগ্রহণ করে।
মানববন্ধনে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি সংক্রান্ত ৬৪তম একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে শিক্ষকরা বলেন, গত ১৫ মার্চ একাডেমিক কাউন্সিলে ৩৬টি বিভাগের শিক্ষকদের সর্বসম্মতিক্রমে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে সভার নোটিশে সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে একাডেমিক কাউন্সিলে গুচ্ছ থেকে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, তবে সিন্ডিকেটে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। কিন্তু সভায় এমন কোনে সিদ্ধান্তই নেয়া হয়নি। শুধু গুচ্ছ থেকে বের হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তাই একাডেমিক সভার সিদ্ধান্তের নোটিশ পরিবর্তন করতে হবে। মানববন্ধনে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক একেএম লুৎফর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে তো একটি আইন আছে। আইনে বলা আছে ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। কিন্তু এখন শুনি সিন্ডিকেটে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। যা আইনের পরিপন্থি।
এদিকে মানববন্ধন শেষে শিক্ষকরা দাবিসমূহ নিয়ে উপাচার্যের রুমে অবস্থান নেন। পরবর্তীতে শিক্ষকদের দাবির মুখে একাডেমিক কাউন্সিলের সভার সিদ্ধান্তের নোটিশ পরিবর্তন করা হয়।
এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, আগামী ৫ বা ৬ এপ্রিল একাডেমিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে, সেখানে নিজস্ব পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে একটি কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন উপাচার্য।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, এখন কিছু বলতে চাই না। আগামী ৮ এপ্রিল সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৯ মার্চ ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তিতে গুচ্ছপদ্ধতি থেকে বের হয়ে নিজস্ব পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় ফিরে আসার জন্য চার দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
অবরুদ্ধ জবি উপাচার্য
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সিট নবায়ন ফি কমানোর দাবিতে উপাচার্যের রুমের সামনে অবস্থান নেয় আবাসিক ছাত্রীরা। ছাত্রীদের দাবি, হলের সিট ফি অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে চার/পাঁচগুণ বেশি। তাছাড়া এক সিটে দুজন করে থাকার পরও দুজনের জন্য কেন ৫২৬৫ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে? এ ফি প্রদান করা আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য কষ্টসাধ্য বলে উপাচার্যকে জানায় ছাত্রীরা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, হলের সিট ফির বিষয়ে কোষাধ্যক্ষ, প্রভোস্টের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।