বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেছেন, আগে আমরা নেত্রীর (বেগম খালেদা জিয়া) মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতাম, এখন নেত্রী আমাদের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। আমরা তাকে মুক্ত করতে পারব কি না? এ সময় তিনি উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, সবাই পালিয়ে যেতে পারে, আপনারা কি পালিয়ে যেতে পারবেন। বিগত আন্দোলনে আমরা আমাদের অনেক ভাইকে হারিয়েছি। তাদের রক্তের প্রতি আমাদের কি এতটুকু ঋণ নাই। যদি ঋণ থেকে থাকে, তাহলে আমাদের নেতা ঈদের পর কর্মসূচী ঘোষণা করবেন, আন্দোলনের ময়দান থেকে কেউ পালিয়ে যাবেন না। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ নগরীর জিলা স্কুল হোস্টেল মাঠে ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় ছাত্রদলের দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় সাবেক এই ছাত্রনেতা আরো বলেন, রাজনীতির কারণে অল্প বয়সে পিতাকে হারিয়েছেন আমাদের নেতা তারেক রহমান। হারিয়েছেন ছোট ভাইকেও, কিন্তু শেষবারের মত তিনি ছোট ভাইয়ের মুখ দেখতে পাননি। রাজনীতির কারণে উনার মা ৭৯ বছর বয়সে কারাগারে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন। এরকম মানসিক অবস্থার মধ্যেও তিনি তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। আমাদের কি কোনো দায়িত্ব নেই? আমরা কি বেঈমান? এদিকে বর্ণাঢ্য এই ইফতার মাহফিলে ভিডিও কনফারেন্সে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ সময় ঢাকা ও ময়মনডিসংহ বিভাগীয় ছাত্রদলের প্রায় দুই সহস্রাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। বিভাগীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাইমুল করিম লুইনের সভাপতিত্বে এই ইফতার মাহফিলে সঞ্চালক হিসেবে যৌথভাবে দ্বায়িত্ব পালন করেন মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহম্মেদ রবিন, দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবু দাঈদ রায়হান ও উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রায়হান শরীফ হলুদ। এতে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ এবং বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক সাঈফ মাহমুদ জুয়েল। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম ও ওয়ারেস আলী মামুন, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বকুল, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল বারী ড্যানী, বিএনপিনেতা অধ্যাপক একেএম শফিকুল ইসলাম, আবু ওয়াহাব আকন্দ, ডা. মাহাবুবুর রহমান লিটন, সাবেক এমপি শাহ শহীদ সারোয়ার, শাহ নূরুল কবীর শাহীন, অধ্যাপক এনারেয়ত উল্লাহ কালাম, মোতাহার হোসেন তালুকদার প্রমুখ।