কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি করে গেজেট প্রকাশ করতে দায়ের করা রিটের আদেশ পেছানো হয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের অবকাশকালীন ছুটির পর এ বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের এক শুনানি শেষে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ের পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে আদেশের জন্য এই দিন ধার্য করেন। রিটকারী আইনজীবী মো. আসাদ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, আজকে এ বিষয়ে আদেশ দেয়ার কথা ছিল। আমি আদালতে উপস্থিত ছিলাম। সিরিয়াল অনুযায়ী আদেশ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ এ বিষয়ে এপিয়ার করায় শুনানি ও আদেশের জন্য অবকাশকালীন ছুটির পর দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে গত বছরের ২২ জুন সুপ্রিমকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করা হয়। ওইদিন সকালে সংশ্লিষ্ট আদালতের অনুমতি নেন রিটকারীরা। ওই রিটে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক এবং কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে। পরে ১০ জন আইনজীবীর পক্ষে সংশ্লিষ্টদের এই বিষয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী আসাদ উদ্দিন।
নোটিশের বিষয়ে আসাদ উদ্দিন ঢাকা মেইলকে বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম মৌখিকভাবে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে পরিচিত হলেও লিখিতভাবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নেই। বলা হয়ে থাকে, ১৯২৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর কলকাতার আলবার্ট হলে একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সেখানে সর্বভারতীয় বাঙালিদের পক্ষ থেকে কবিকে জাতীয় সংবর্ধনা দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, শেরেবাংলা একে ফজলুল হকসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নজরুলকে ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সেই থেকে মুখে মুখে তিনি জাতীয় কবি হয়ে আছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত সরকারিভাবে তাকে জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা করে কোনো প্রজ্ঞাপন বা গেজেট প্রকাশ করা হয়নি। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। কারণ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি কোনো মৌখিক বিষয় নয়। সুপ্রিমকোর্টের এই আইনজীবী বলেন, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ২৪ মে কবিকে বাংলাদেশে আনা হয়। বসবাসের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ধানমন্ডিতে একটি বাড়ি দেয়া হয়।