ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে রাজধানীর অন্যতম বৃহত্তম খুচরা কাপড়ের বাজার বঙ্গবাজার মার্কেট। প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা জ্বলে গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে তার আগেই পুড়ে নিঃশেষ হয়ে যায় হাজারো ব্যবসায়ীর সম্বল। বিধ্বংসী এই অগ্নিকাণ্ডের খবর দেশীয় গণমাধ্যমের পাশাপাশি উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও। বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) শিরোনাম করেছে ‘ফায়ার রেসেস থ্রু ক্লদিং মার্কেট ইন বাংলাদেশ ক্যাপিটাল’। তাদের সূত্র ধরে একই খবর প্রকাশ করেছে প্রভাবশালী মার্কিন দৈনিক দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট, এবিসি নিউজ, ইউএস নিউজ।
বঙ্গবাজারের আগুন নিয়ে ভিডিওসহ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি। তাদের বরাতে একই খবর প্রচার করছে ইনকোয়ারার, ব্যারনস, দুবাইভিত্তিক গণমাধ্যম আল-অ্যারাবিয়া, আবুধাবির ইংরেজি দৈনিক দ্য ন্যাশনাল প্রভৃতি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সচিত্র প্রতিবেদনের শিরোনাম করা হয়েছে ‘ফায়ার ফাইটারস, আর্মি ওয়ার্ক টু ডজ ম্যাসিভ ফায়ার ইন বাংলাদেশ’। একই খবর প্রকাশ করেছে ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া টাইমস প্রভৃতি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান বঙ্গবাজারের খবর নিয়ে শিরোনাম করেছে ‘বাংলাদেশ ফায়ার: হান্ড্রেসস অব ফায়ারফাইটারস ট্যাকল ব্লেজ ইন হিউজ ঢাকা ক্লদিং মার্কেট’। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবরের শিরোনাম ‘মেজর ফায়ার এ পপুলার ক্লদিং মার্কেট ইন বাংলাদেশ’। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি ‘ম্যাসিভ ফায়ার গাটস থাউজেন্ডস অব শপস ইন বাংলাদেশ মার্কেট’ নামে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এছাড়াও ভারতের এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমস, ডেকান হেরাল্ড, বিজনেস স্ট্যার্ন্ডাড, ট্রিবিউন ইন্ডিয়া, বার্তা সংস্থা আইএএনএস, বার্তা সংস্থা পিটিআই, পাকিস্তানের প্রভাবশালী দৈনিক ডন বঙ্গবাজারে আগুনের খবর প্রকাশ করেছে। কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ‘ঢাকার বঙ্গবাজারে বিধ্বংসী আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ৫০টি ইঞ্জিন, পুড়ে ছাই বহু দোকান’। সংবাদ প্রতিদিন বলছে, ‘ঈদের আগে ঢাকার বঙ্গবাজারে বিধ্বংসী আগুন, পুড়ে ছাই ৫০০০ দোকান’। এই সময়ের শিরোনাম ‘ফের ঢাকার বঙ্গবাজারে বিধ্বংসী আগুন, পুড়ে ছাই ৫০০০ দোকান’। জি নিউজের খবরের শিরোনাম করা হয়েছে ‘ভয়াবহ আগুনে ৪০০০ দোকান পুড়ে ছাই! ঘন কালো ধোঁয়া আর কান্নায় ভারি এলাকার বাতাস...’।