তিন জেলার ১৯ উপজেলায় ভয়েস মেসেজের মাধ্যমে বন্যার আগাম সতর্কবার্তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। গতকাল বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘স্থানীয় পর্যায়ে বন্যার সতর্কবার্তা ও প্রচার ব্যবস্থার উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের বার্ষিক অগ্রগতি অবহিতকরণবিষয়ক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্যার ঝুঁকি মোকাবিলায় গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা ও সহনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার অবকাঠামো টেকসই ও জনগণের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে দেশের বন্যাপ্রবণ উত্তরাঞ্চলের তিন জেলা কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও জামালপুরের ১৯টি উপজেলায় বিশেষ কার্যক্রম ও প্রকল্প গ্রহণ করেছে। বন্যা মৌসুমে এসব উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে ভয়েস মেসেজের মাধ্যমে দ্রুত বন্যার আগাম সতর্কবার্তা প্রদান করা হবে। যাতে বন্যা উপদ্রুত এলাকাবাসী তার মোবাইল ফোনে এ তথ্য পেতে পারেন। প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে জনগণ এবং সরকারি-বেসরকারি সংস্থা দুর্যোগ পূর্বপ্রস্তুতি আরো ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারবে, যাতে বন্যায় জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস পাবে এবং প্রকল্প এলাকার সবাই উপকৃত হবে। তিনি বলেন, ভৌগোলিক অবস্থান ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে আমাদের দেশটি দুর্যোগপ্রবণ দেশ হিসেবে পরিচিত। এ প্রাকৃতিক দুর্যোগকে প্রতিরোধ বা নিমূর্ল করা সম্ভব নয়। তাই দুর্যোগ ঝুঁকি কমিয়ে এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধি করে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসাই সরকারের লক্ষ্য। এনামুর রহমান বলেন, দুর্যোগে জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে দুর্যোগ সহনীয় টেকসই নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার পরিকল্পিতভাবে কাঠামোগত ও অকাঠামোগত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা থেকে মানুষের জানমাল রক্ষার্থে মাটির কিল্লা নির্মাণ করা হয়, যা সর্বসাধারণের কাছে মুজিব কিল্লা নামে পরিচিত। তারই আধুনিক রূপে উপকূলীয় ও বন্যা উপদ্রুত ১৪৮টি উপজেলায় ৫৫০টি মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান। উপকূলীয় দুর্গত জনগণ যেমন সেখানে আশ্রয় নিতে পারবে তেমনি তাদের প্রাণিসম্পদকে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারবে।