কোনো দর্শনার্থী চিড়িয়াখানার প্রাণীদের উত্ত্যক্ত করলে জরিমানার বিধান রেখে সংসদে বিল উত্থাপন করা হয়েছে। উত্ত্যক্তকারী ব্যক্তির কাছ থেকে দুই হাজার টাকা প্রশাসনিক ক্ষতিপূরণ আদায় করা যাবে। গতকাল বৃহস্পতিবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম জাতীয় সংসদে বিলটি উপস্থাপন করেন। পরে এটি ৩০ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে রিপোর্ট উপস্থাপনের জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানাগুলো উপদেষ্টা কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এ বিলটি পাসের পর দেশের সরকারি সব চিড়িয়াখানা এর অধীনে পরিচালিত হবে। এ বিলে চিড়িয়াখানার কোনো প্রাণীকে জখম করলে বা অনুমতি ছাড়া খাবার দিলে দুই মাসের জেল ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। বিলে বলা হয়েছে, কোনো দর্শনার্থী প্রবেশ ফি ছাড়া চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করলে তার কাছ থেকে প্রবেশ ফির সমপরিমাণ মূল্য আদায় করা হবে। মাত্রা বিবেচনা করে দুই হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করা যাবে। কোনো দর্শনার্থী চিড়িয়াখানায় কোনো প্রাণীকে উত্ত্যক্ত করলে তার কাছ থেকে দুই হাজার টাকা প্রশাসনিক ক্ষতিপূরণ আদায় করা যাবে। এই আইন পাসের পর কোনো দর্শনার্থী চিড়িয়াখানার কোনো প্রাণীকে কোনোভাবে আঘাত বা জখম করলে বা কিউরেটরের নির্দেশনা অমান্য করে বা অনুমতি ছাড়া খাবার দিলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। এ জন্য দুই মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেয়া হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এসব অপরাধের বিচার করা যাবে। বিল অনুযায়ী চিড়িয়াখানার কোনো প্রাণীর বয়সজনিত শারীরিক অক্ষমতা বা সংক্রামক রোগ থেকে অন্য কোনো প্রাণীর জীবন রক্ষার্থে বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট প্রাণীর অসহনীয় ক্লেশ নিবারণের জন্য ব্যথাহীন মৃত্যু ঘটানো যাবে। বিলে বলা হয়েছে, ভেটেরিনারি কর্মকর্তার নির্দেশনা ছাড়া প্রকৃতিগত কারণে দলবদ্ধভাবে অবস্থানকারী প্রাণীদের মধ্য থেকে কোনো প্রাণীকে আলাদা বা এককভাবে রাখা যাবে না। প্রাণীর প্রকৃতি বিবেচনা করে ন্যূনতম প্রাকৃতিক পরিবেশ বা সুবিধাসম্পন্ন খাঁচায় আবদ্ধ বা মুক্ত রাখতে হবে।