দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষের যাতায়াতের প্রধান রাস্তা ঢাকা-অরিচা মহাসড়ক। এই মহাসড়কের নবীনগর বাসস্ট্যান্ড থেকে পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড ও রাস্তার বাঁকে প্রায় ৩৯টি জায়গায় যানবাহনের গতিরোধ হতো। এই ৩৯টি স্থানের বাসস্ট্যান্ড ও বাঁকে রাস্তা বাড়িয়ে ও মাঝখানে আইল্যান্ড করে রাস্তা ৪ থেকে ৬ লেনের করা হয়েছে। প্রতিটি বাসস্ট্যান্ডে ফুটওভার ব্রিজ বানানো হয়েছে, যাতে মানুষের রাস্তা পারাপারের কারণেও গাড়ির গতিরোধ না হয়। মানিকগঞ্জের সড়ক ও জনপদ বিভাগ আশা করছে, এসব উদ্যোগের ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত জ্যাম কমবে, সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে এবং যাত্রীদের ভোগান্তি অনেক কমবে। পুলিশ জানিয়েছে, ঈদে মহাসড়কে যানজট, ছিনতাইসহ যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সে জন্য পুলিশ, র্যাব, ট্রাফিক, আনসার সদস্য মোতায়েন রাখা হবে। মানিকগঞ্জের সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আনিছুর রহমান বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগহীন যাতায়াতের জন্য আমরা নবীনগর থেকে পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত প্রায় ৩৯টি জায়গায় যানবাহনের গতিরোধ স্থানে রাস্তা প্রশস্ত করেছি। কোনো জায়গায় ৪ লাইন আবার কোনো জায়গায় ৬ লাইনের রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। বাসস্ট্যান্ড এলাকায় লোকাল বাসের যাত্রী উঠা-নামার জন্য আলাদা লেন করা হয়েছে। ফলে মাঝের রাস্তা দিয়ে নির্বিঘ্নে দূর পাল্লার বাস চলাচল করতে পারবে। রাতে গাড়ি নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য ডিভাইডারের সামনে ডিজিটাল সাইন লাগানো হয়েছে। তাছাড়া রাস্তায় সবসময় আমাদের লোক থাকবে। যানবাহন চলাচলে রাস্তার জন্য কোনো বিঘ্ন ঘটলে সাথে সাথে সেই জায়গা মেরামত করা হবে। পুলিশ সুপার মুহাম্মদ গোলাম আজাদ খান বলেন, ঈদের বিষয়টি মাথায় রেখে পাটুরিয়া-আরিচা ঘাট ও ঢাকা-আরিচা সহাসড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন থাকবে।