ঢাকা ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বিশ্ববাজারে আম রপ্তানির পথ সুগম হচ্ছে : কৃষিমন্ত্রী

বিশ্ববাজারে আম রপ্তানির পথ সুগম হচ্ছে : কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের আমের অনেক চাহিদা রয়েছে। দেশে আমের উৎপাদন অনেক বেড়েছে, রপ্তানির সম্ভাবনাও অনেক। রপ্তানির ক্ষেত্রে আম নিরাপদ ও রোগজীবাণুমুক্ত- এ নিশ্চয়তা দিতে হবে। কিন্তু আমরা এখনো সেই নিশ্চয়তা দিতে পারিনি, আমাদের প্রস্তুতি চলছে। উত্তম কৃষি চর্চা মেনে আম উৎপাদন, ভ্যাপার হিট ট্রিটমেন্ট স্থাপন, আধুনিক প্যাকিং হাউজ নির্মাণ এবং কৃষক, ব্যবসায়ী, রপ্তানিকারকদের প্রশিক্ষণসহ নানা উদ্যোগ বাস্তবায়ন কাজ চলছে। এছাড়া, এরইমধ্যে ৪৭ কোটি টাকার রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্প নেয়া হয়েছে। ফলে, অচিরেই বিশ্ববাজারে দেশের আম রপ্তানির পথ সুগম হবে।

গত বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে রপ্তানিযোগ্য আমের উৎপাদন, বিপণন ও রপ্তানির বিষয়ে আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এক বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, সভায় কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংস্থাপ্রধান, আম চাষি, উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় জানানো হয়, বিশ্বের আম উৎপাদনকারী দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। বাংলাদেশে বছরে আমের উৎপাদন প্রায় ২৪ লাখ মেট্রিক টন। আম পরিবহন, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ এবং উৎপাদন পর্যায়ে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার না করায় উৎপাদিত আমের ২৫-৩০ ভাগ নষ্ট হয়ে যায়। ২০২১ সালে বিশ্বে প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ডলার আম রপ্তানি হয়। আর বাংলাদেশ থেকে ২০১৮-১৯ সালে ৩১০ টন, ২০১৯-২০ সালে ২৮৩ টন, ২০২০-২১ সালে ১ হাজার ৬৩২ টন, ২০২১-২২ অর্থবছরে ১ হাজার ৭৫৭ মেট্রিক টন আম রপ্তানি হয়েছে। আম উৎপাদনে বাংলাদেশ সপ্তম অবস্থানে থাকলে রপ্তানিতে শীর্ষ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ নেই। বাংলাদেশ থেকে প্রায় লক্ষাধিক টন আম রপ্তানির সম্ভবনা রয়েছে। এরইমধ্যে ইংল্যান্ড, জাপান, রাশিয়াসহ ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশ থেকে আম আমদানির আগ্রহ দেখিয়েছে। বিশ্বে ২১ জাতের আম রপ্তানি হয়ে থাকে। যার অনেকগুলো বাংলাদেশে উৎপাদিত হয়। বাংলাদেশে প্রায় ৭২ জাতের আম উৎপাদিত হয়- যার মধ্যে জনপ্রিয় জাতগুলো হলো- খিরসাপাত, গোপালভোগ, লেংড়া, ফজলি, হাড়িভাঙ্গা, আম্রপালি ইত্যাদি। এরইমধ্যে বাংলাদেশের দুটি জাত (খিরসাপাত, ফজলি) জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমের রপ্তানি বাড়াতে নানা পদক্ষেপ বাস্তবায়ন কাজ চলছে। এরইমধ্যে ৪৭ কোটি টাকার রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্প নেয়া হয়েছে (২০২২-২৭)। এর মাধ্যমে উত্তম কৃষি চর্চার মাধ্যমে আম উৎপাদন, রপ্তানিযোগ্য জাতের আম বাগান সৃজন, বিদ্যমান আম বাগানে সার ও বালাই ব্যবস্থাপনা, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার (প্রুনিং ব্যাগিং ও বালাই ব্যবস্থাপনা) মানসম্মত আম উৎপাদন; কৃষক, রপ্তানিকারক, বাজারজাতকারী, আম পরিবহন ও কার্গো ব্যবস্থাপনায় জড়িতদের প্রশিক্ষণের কাজ চলছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত