ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ

আজান ও কেরাত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ

আজান ও কেরাত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সৈনিকদের শুদ্ধ উচ্চারণ ও সুললিত কণ্ঠে আজান ও কেরাত চর্চায় অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম নাজমুল হাসান শুক্রবার বাদ জুমা পিলখানাস্থ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার, সনদপত্র ও ট্রফি বিতরণ করেন। এ সময় বিজিবির সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা, সৈনিক ও অসামরিক সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়। 

গত ১২ এপ্রিল পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দপ্তরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ৩ দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতা শেষে ১৪ এপ্রিল পিলখানাস্থ কেন্দ্রিয় মসজিদে বাদ জুমা বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

আজান প্রতিযোগিতায় চূড়ান্ত পর্বে সেক্টর সদর দপ্তর, কুষ্টিয়ার ল্যান্স নায়েক সিটি মো. মোকতার হোসেন প্রথম স্থান, সেক্টর সদর দপ্তর, গুইমারার মেডিক্যাল সহকারী সিপাহি তানজিমুল ইসলাম দ্বিতীয় স্থান এবং সেক্টর সদর দপ্তর, ঠাকুরগাঁওয়ের সিপাহি মো. রাকিবুল ইসলাম তৃতীয় স্থান অধিকার করেন।

কেরাত প্রতিযোগিতায় সেক্টর সদর দপ্তর, গুইমারার ল্যান্স নায়েক মো. বেলাল আহমেদ প্রথম স্থান, হেডকোয়ার্টার ব্যাটালিয়ন, ঢাকার মুয়াজ্জিন মো. আল আমিন দ্বিতীয় স্থান এবং সেক্টর সদর দপ্তর, সিলেটের সিপাহী মো. আজিজুর রহমান তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। আজান ও কেরাত উভয় বিষয়ে দলীয়ভাবে মোট পয়েন্ট প্রাপ্তির ভিত্তিতে গুইমারা সেক্টর চ্যাম্পিয়ন এবং কুষ্টিয়া সেক্টর রানার আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে। পুরস্কার বিতরণ শেষে বিজিবি মহাপরিচালক উপস্থিত সকলের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।

তিনি বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে ব্যক্তিগত জীবনে শুদ্ধ উচ্চারণে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও ধর্ম চর্চার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ধর্মীয় অনুশাসন মানে- ধর্মীয় গোড়ামি নয়, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রেখে সবাইকে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলারও আহ্বান জানান বিজিবি মহাপরিচালক।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত