ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চট্টগ্রামে উৎসবমুখর মঙ্গলশোভা যাত্রায় বৈশাখ উদযাপন

চট্টগ্রামে উৎসবমুখর মঙ্গলশোভা যাত্রায় বৈশাখ উদযাপন

চট্টগ্রাম মঙ্গল শোভাযাত্রায় গত শুক্রবার উৎসব মুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়েছে পহেলা বৈশাখ। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার অংশগ্রহণে উদযাপিত হয়েছে নববর্ষ। সকাল ৯টায় শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণ থেকে বের করা হয় বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা। এটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এছাড়া পহেলা বৈশাখকে স্বাগত জানিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, জেলা শিশু একাডেমি, চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল, জাতিতাত্ত্বিক যাদুঘর, এলজিইডি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বতস্ফূর্তভাবে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। বাদ্যের তালে তালে গ্রাম-বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্যের লোকজ উপকরণ পালকি, পুতুল, রঙিন প্ল্যাকার্ড মঙ্গল শোভাযাত্রায় যোগ করেছে অনন্য মাত্রা। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৯টায় শিল্পকলা একাডেমির অনিরদ্ধি মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় দলীয় নৃত্য, দলীয় ও একক সংগীত।

সকাল সাড়ে ১০টায় শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সাল মাহমুদ, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি প্রবীর কুমার রায়, জেলা পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, চট্টগ্রাম জেলা ইউনিট কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরোয়ার কামাল।

অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন, ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে বের হয় প্রথম আনন্দ শোভাযাত্রা। এ শোভাযাত্রা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর ইউনেস্কো থেকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মর্যাদা পায়। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এখনো মঙ্গল শোভাযাত্রাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। তারা বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য ও অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিতে চায়। বাংলাদেশের মানুষ ধর্ম, বর্ণ ও গোত্র ভেদে ভিন্ন হলেও সব বাঙালি বাংলা নববর্ষ অনুষ্ঠান এক এবং অভিন্ন সত্ত্বার আলোকে পালন করে। আমরা যদি দেশের স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে বিনাশ করতে না পারি, তাহলে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার পথ রুদ্ধ হয়ে যাবে। তাই সকলের প্রচেষ্টায় অশুভ শক্তিকে মোকাবেলা করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবো-এটা হোক আমাদের অঙ্গীকার। নববর্ষের আনন্দ আয়োজন উপলক্ষ্যে শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আসেন সর্বস্তরের জনসাধারণ। এ সময় জেলা শিল্পকলা একাডেমি সংগীত দল, চট্টগ্রাম শিশু একাডেমি, ওড়িসী টেগোর অ্যান্ড ডান্স মুভমেন্ট সেন্টার, ঘুংঘুর নৃত্যকলা কেন্দ্র, সংগীত ভবনসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেয়। শিল্পীরা ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’ গানে বরণ করে নেন বাংলা নববর্ষকে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত