প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

পদ্মা সেতু দিয়ে লাখো বাইকারের ঈদযাত্রা

প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  শরীয়তপুর প্রতিনিধি

গর্বের পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে দীর্ঘ ৯ মাস ২৪ দিন পর মোটরসাইকেল চলার মধ্য দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিামাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের স্বস্তির ঈদ যাত্রায় বেশ খুশি বাইকাররা। গতকাল ভোর ৬টা থেকে পাদ্মা সেতুর সার্ভিস লেন দিয়ে শুরু হয়েছে পদ্মার এ পাড়ের মানুষের আনন্দের ঈদ যাত্রা। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বাইকাররাও সুশৃঙ্খলভাবে পাড়ি দিচ্ছেন স্বপ্নের পদ্মা সেতু। পরিবারের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে নারী পুরুষ মিলে মিশে আনন্দের অনুভূতি নিয়ে ছুটছেন গন্তব্যের পথে।

২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু পারাপারের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার দুই দিনের মাথায় মোটর সাইকেল চালকদের বেপরোয়া আচরণের কারণে ২৭ জুন সেতু কর্তৃপক্ষ একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সেতুর উপর দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে। তারপর থেকেই পদ্মা পাড়ের দাক্ষিণাঞ্চলের বাইকারদের দীর্ঘ দিনের দাবির প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদকে সামনে রেখে শর্তসাপেক্ষে সেতুর উপর দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচলের নির্দেশ দেন। দীর্ঘ দিনের প্রতীক্ষা ও স্বপ্নের পদ্মা সেতু দিয়ে ঝামেলামুক্তভাবে পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপনের সুযোগ তৈরি করে দেয়ায় পদ্মার দক্ষিণ পাড়ের একুশ জেলার মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার আলি আহমেদ তার আবেগ প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, আমাদের বাইকারদের কিছু ভুলের কারণে আমাদের স্বপ্ন যাত্রা এতদিন থেমে ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতার কারণে সকল প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে আজ আমরা গর্বের ও স্বপ্নের পদ্মা সেতু মোটরসাইকেল যোগে অতিক্রম করলাম। এ যে কি আনন্দের ও গর্বের তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। শুধু জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য প্রাণভরে দোয়া করছি।

শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান বলেন, বাইকারদের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পূরণে প্রধানমন্ত্রী ঈদকে সামনে রেখে যে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত দিয়েছেন তা দক্ষিণ-পশ্চিামাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের ঈদের খুশিকেও ছাড়িয়ে গেছে। তবে আমরা আশা করব প্রধানমন্ত্রীর এই সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বাইকাররা যেন সেতু পারাপারের সময় গৃহীত নিয়মকানুন মেনে চলেন। একই সাথে পদ্মা সেতু দিয়ে পারাপারের পর বাইকারদের শৃঙ্খলার সাথে ঈদ যাত্রাকে নিরাপদ করতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের প্রত্যাশা প্রতিটি ঘরমুখো মানুষ নিরাপদে বাড়ি পৌছে পরিবারের সাথে খুশির ঈদ উদযাপন করবেন।