বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো একটি নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ এক্সপ্লোসিভ অর্ডন্যান্স ডিসপোজাল (ব্যানইওডি) প্লাটুন’ এর ৩৬ জন সদস্য কঙ্গোতে প্রথমবারের মতো মোতায়েনের উদ্দেশ্যে গত বৃহস্পতিবার রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। ইউনাইটেড নেশনস অর্গানাইজেশন স্টাবিলাইজেশন মিশন ইন দ্য ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ দ্য কঙ্গো (মনুস্কো) মিশনের এক্সপ্লোসিভ অর্ডন্যান্স ডিসপোজালের অংশ হিসেবে এই কন্টিনজেন্টটি অপারেশন এলাকায় জরুরি মোতায়েন করা হবে। কন্টিনজেন্টের মূল দায়িত্ব হবে এক্সপ্লোসিভ অর্ডন্যান্স ডিসপোজালের সহায়তা দেয়া। আইএসপিআর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, জাতিসংঘ সদর দপ্তরের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে এই কন্টিনজেন্টকে প্রস্তুত এবং অপারেশনাল এলাকায় নিয়োগের সব কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। কেবলমাত্র মৌলিক অস্ত্র সরঞ্জামাদি নিয়ে শান্তিরক্ষী মিশনে এলাকায় স্বল্পতম সময়ে মোতায়েন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের জন্য একটি নতুন সংযোজন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাম্প্রতিককালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ভাষণে শান্তিরক্ষীদের পেশাদারিত্ব ও আত্মত্যাগ প্রদর্শনের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
এছাড়া, সেনাবাহিনী প্রধানের অভিজ্ঞ দিকনির্দেশনা, সামরিক কূটনীতি এবং দক্ষ নেতৃত্বের ফলেই বিভিন্ন মিশনে বাংলাদেশের জনবল এবং সক্ষমতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে চিফ অব স্টাফ, বিভিন্ন মিশনে ডেপুটি ফোর্স কমান্ডার ও সেক্টর কমান্ডার পদে দায়িত্ব পালনসহ মিশনের নেতৃস্থানীয় পদে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের পদায়নও বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত তিন দশকে বাংলাদেশের গর্বিত শান্তিরক্ষীরা বিশ্বের ৪০টি দেশে ৫৬টি শান্তিরক্ষা মিশন সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন।
এসব দুঃসাহসিক অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১ লাখ ৫১ হাজার ৯৩০ জন সদস্য বিশ্ব শান্তিরক্ষায় প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন। এই মহান দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৩১ জন সদস্য নিহত এবং ২৩২ জন সদস্য আহত হন। বর্তমানে জাতিসংঘের ৯টি দেশের ১০টি মিশনে সর্বমোট ৬ হাজার ৯ জন সেনাসদস্য কর্মরত রয়েছেন।