টানা পাঁচ দিন ঈদের ছুটির পর চেনা রূপে ফিরতে শুরু করেছে রাজধানী। তবে বাজারে ক্রেতাদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম। বন্ধ রয়েছে অধিকাংশ দোকানপাট। ক্রেতা কম থাকলেও কমেনি মাছ, মাংস এবং সবজির দাম।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচামরিচ, বরবটি এবং করলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজিতে। সজনে ডাঁটা ৯০-১০০ টাকা আঁটি, গাজর ৮০-১৪০ টাকা। শসা, কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে। বেগুন, ঝিঙা, পটল এবং চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা কেজিতে। ধুন্দল, ঢ্যাঁড়স এবং টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা কেজিতে। লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা পিস। আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে। আকার ভেদে লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০-৩৫ টাকায়। এছাড়া শাকের মধ্যে পাট শাক প্রতি আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। পুঁইশাক বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেক ২০ টাকা আঁটি। লাউশাক বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা আঁটি। কলমিশাক বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা আঁটি। রামপুরা বাজারের ব্যবসায়ী সাজ্জাদ আলম বলেন, রোজার আগে যে দাম ছিল আজকে আমরা সেই দামেই সবজি বিক্রি করছি। লোকজন কম তাই কেনা-বেচা কম। গতকাল অনেক ব্যবসায়ী দোকানও খুলেননি জানিয়ে তিনি বলেন, অধিকাংশ দোকানে দুই-তিন দিন আগে কেনা পণ্য বিক্রি হচ্ছে। তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। যারা আজকে পণ্য কিনেছেন তারা হয়তো কিছুটা কম দামে বিক্রি করতে পারছেন। বাজার করতে আসা আশিকুর রহমান বলেন, বাজারের অধিকাংশ দোকানই বন্ধ। ক্রেতাও কম। তারপরও সব সবজির দাম আগের মতোই। তিনি বলেন, আধা কেজি কাকরোল কিনেছি ৩০ টাকা দিয়ে। আধা কেজি করলা নিয়েছি ৪০ টাকা দিয়ে। কোনো সবজির দাম কমছেই না। মালিবাগ বাজারে আসা ক্রেতা মরিয়ম মনি বলেন, শসার দাম কমছেই না। দেশি শসার কেজি ৮০ টাকা। আর হাইব্রিড শসা ৬৫-৭০ টাকা কেজি। ৫০ টাকার নিচে সবজি নেই বললেই চলে। সবজির পাশাপাশি মাছ, মাংসের দাম অসহনীয় রয়েছে। ঈদের ৫ দিন বন্ধের পরও গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজি। অথচ ঈদের আগে গরুর মাংস বিক্রি হয়েছিল ৭৫০ টাকা কেজিতে। আজকে খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১২৫০ টাকা। ঈদের আগে যা ছিল ১১০০ থেকে ১১৫০ টাকা কেজি গরিবের গরুর মাংস বলে খ্যাত ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা কেজিতে। অথচ ঈদের দুই দিন আগে বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ২১০ টাকা কেজিতে। এছাড়া সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ৩৭০-৩৮০ টাকায়। মালিবাগ বাজারে মুরগির মাংস কিনতে আসা পিন্টু মণ্ডল বলেন, কী অবাক কাণ্ড! ঈদের আগে ২০০ টাকা কেজিতে মুরগির মাংস কিনেছি। আজকে বলছে ২৬০ টাকা। তিনটি দোকান ঘুরেছি, কেউ দিচ্ছে না।
একই বাজারের ব্যবসায়ী হাসিবুর রহমান বলেন, ঈদের দিন বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২৮০ টাকা। আজকে বিক্রি করছি ২৬০ টাকা। সেই হিসেবে কেজিতে ২০ টাকা কমেছে। মাংসের মতোই অবস্থা মাছের বাজারে। বাজারগুলোতে তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা কেজিতে। রুই বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা কেজিতে। এক কেজি ওজনের দুটি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়। এছাড়াও ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা ডজন। আর হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। হাঁসের ডিম প্রতি ডজন ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চালের মধ্যে প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৮-৭২ টাকা, নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা, পাইজাম বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা, স্বর্ণা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৪৬ টাকা, আটাশ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫২ টাকা কেজি।