ঢাকা ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বঙ্গবন্ধু সেতুতে ৪ দিনে ১০ কোটি টাকার বেশি টোল আদায়

বঙ্গবন্ধু সেতুতে ৪ দিনে ১০ কোটি টাকার বেশি টোল আদায়

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে চার দিনে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে যেসব গাড়ি চলাচল করেছে, সেগুলো থেকে ১০ কোটি ১৪ লাখ টাকা টোল আদায় করা হয়েছে। গত সোমবার রাত ১২টা থেকে গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতুতে বাস, ট্রাক, পিকআপ, লরি, মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসসহ ১ লাখ ৩১ হাজার ১৭০টি যানবাহন পারাপার হয়। এসব যান থেকে টোল আদায় হয়েছে ১০ কোটি ১৪ লাখ ৪৪ হাজার ১০০ টাকা। এছাড়া গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে গত শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতুতে ১৩ হাজার ৭৬৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৫৫০ টাকা। বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ঈদের এই চার ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গের দিকে গেছে ৭৬ হাজার ৯৯২টি যানবাহন। এসব যানে টোল আদায় হয়েছে ৫ কোটি ৩৭ লাখ ৬৬ হাজার ৪০০ টাকা। এছাড়া উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ৫৪ হাজার ১৭৮টি যানবাহন সেতু পার হয়েছে। এতে সেতুর পশ্চিম পাড়ে টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৭৬ লাখ ৭৭ হাজার ৭০০ টাকা। এর মধ্যে ১৭ এপ্রিল সেতুতে গাড়ি পারাপার হয়েছে ২২ হাজার ৪৮৫টি। টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৯ লাখ ৬৪ হাজার ৫০০ টাকা। ১৮ এপ্রিল সেতু পারাপার হয়েছে ৩০ হাজার ২৫১টি পরিবহন। এর বিপরীতে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৪৪ লাখ ২১ হাজার ৫৫০ টাকা। ১৯ এপ্রিল সেতুতে গাড়ি পারাপার হয়েছে ৩৬ হাজার ৬৯টি। এতে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৭১ লাখ ৯৫ হাজার ৪০০ টাকা। সর্বশেষ ২০ এপ্রিল সেতুটি দিয়ে গাড়ি পারাপার হয়েছে ৪২ হাজার ৩৬৫টি। এসব যান থেকে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৮৮ লাখ ৬২ হাজার ৬৫০ টাকা। এবারের ঈদে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব মহাসড়কে কোথাও তেমন কোনো যানজটের সৃষ্টি হয়নি। যানবাহন চলাচলে ক্ষণিকের জন্য ধীরগতির সৃষ্টি হলেও পরে সেটি স্বাভাবিক হয়। ঈদে ঘরেফেরা মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ায় মহাসড়কে মানুষের ভোগান্তি তেমনটা হয়নি। তবে বরাবরের মতো বাড়তি ভাড়া ও যাত্রীবাহী বাস সংকটের কারণে নিম্ন আয়ের মানুষজন খোলা ট্রাক ও পিকআপে বাড়ি ফিরেছে। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, এবার ঈদযাত্রায় ব্যক্তিগত গাড়ির পাশাপাশি মোটরসাইকেলের সংখ্যা বেশি ছিল। পরিবহণগুলো যেন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে, সে লক্ষ্যে সেতু কর্তৃপক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছিল।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত