ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জাপানে কৃষিমন্ত্রী

আলু রপ্তানির বিরাট সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে

আলু রপ্তানির বিরাট সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে

দেশের চাহিদা মিটিয়ে এবার আলু রপ্তানি হবে জাপানে। ভ্যালেন্সিয়া জাতের উৎপাদিত আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ ও আমদানিতে আগ্রহ দেখিয়েছে দেশটির একটি কোম্পানি। ফলে আলু রপ্তানিতে বিরাট সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার জাপানের টোকিওতে ওয়েস্টইন হোটেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে জাপান সফররত কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সাথে জাপানি কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তা সেইয়া কাদৌ’র সাক্ষাৎ হয়। এ সময়ে বাংলাদেশের উৎপাদিত আলু আমদানির আগ্রহের কথা জানান ওই কর্মকর্তা। এ সময় এসিআই এগ্রিবিজনেসের প্রেসিডেন্ট এফএইচ আনসারী উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাৎ শেষে কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে বছরে ১ কোটি টনের বেশি আলু উৎপাদন হয়। চাহিদা রয়েছে ৬০ থেকে ৭০ লাখ টনের মতো। দেশে বর্তমানে যেসব জাতের আলু উৎপাদিত হচ্ছে, তার চাহিদা বিদেশে অনেক কম। সেজন্য রপ্তানিযোগ্য ও শিল্পে ব্যবহার উপযোগী আলুর জাত সম্প্রসারণে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে সরকারিভাবে বিএডিসির মাধ্যমে বিদেশ থেকে অনেকগুলো উন্নত জাত আনা হয়েছে, সেগুলো কৃষক পর্যায়ে সম্প্রসারণের কাজ চলমান আছে।

মন্ত্রী বলেন, আলুকে অনিয়ন্ত্রিত ফসল বা ডিনোটিফায়েড ঘোষণা করেছিলাম, যাতে করে বেসরকারিভাবে উন্নত জাত আনা সহজ হয়। এ ঘোষণার পর থেকে বেসরকারিভাবেও আলুর অনেক উন্নত জাত দেশে এসেছে, নিবন্ধিত হয়েছে। রপ্তানিযোগ্য এসব আলুর জাত চাষের ফলে আলু রপ্তানির বিরাট সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।

বাংলাদেশ থেকে ভ্যালেন্সিয়া জাতের আলুর নমুনা নিয়ে জাপানের ল্যাবরেটরিতে টেস্ট করা হয়েছে বলে জানান জাপানি কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তা সেইয়া কাদৌ। তিনি কৃষিমন্ত্রীকে জানান, এ জাতের আলু মানসম্পন্ন ও সুস্বাদু।

উল্লেখ্য, নেদারল্যান্ডস থেকে আমদানিকৃত ভ্যালেন্সিয়া জাতের আলু দেশে এসিআই কোম্পানি প্রচলন করেছে। আলুকে অনিয়ন্ত্রিত ফসল ঘোষণা বর্তমান সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এরই প্রেক্ষাপটে এসিআই সীড ২০২০ সালে এসিআই আলু-১০ (ভ্যালেনসিয়া) নামক আলুর বীজ নিবন্ধন পায়, যা নেদারল্যান্ডস থেকে আমদানিকৃত। জাতটিতে প্রায় ২১ শতাংশ ড্রাই মেটার আছে বিধায় এটি শিল্পে ব্যবহার উপযোগী।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত