শেরপুরের নকলায় বিরোধপূর্ণ জমির ধান কাটাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে আলী হোসেন (৫০) ওরফে আহালু নামে এক বর্গাচাষির মৃত্যু হয়েছে। আলী হোসেন উপজেলার চরঅষ্টধর ইউনিয়নের চরবসন্তী গ্রামের মৃত নবাব আলীর ছেলে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের আরো অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানায়, চরবসন্তী গ্রামের রশিদ ফকিরের নিকট ক্রয়সূত্রে মালিক স্থানীয় সেলিম মিয়ার এক খণ্ড জমি নিয়ে একই গ্রামের ইদ্রিস আলী ও শওকত হোসেন গংদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধপূর্ণ জমিটি চরবসন্তী এলাকার দরিদ্র কৃষক আলী হোসেন বর্গা চাষ করতেন। গতকাল শুক্রবার ভোরে ইদ্রিস, শওকত গংরা পরিকল্পিতভাবে ওই জমির ধান কাটতে যায়। লোক মারফত এই খবর পেয়ে বর্গাচাষি আলী হোসেন ওরফে আহালু গিয়ে তাদের বাধা দেন। আলী হোসেনের পেছনে পেছনে তার পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে যায়। পরে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের অজ্ঞাত একজন আলী হোসেনকে দা দিয়ে কোপ মারলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক আলী হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। তাছাড়া আহতের মধ্যে নিহতের স্ত্রী নাছিমা, ছোট ভাই শুকুর মাহমুদ ও ছেলে রাবিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। চিকিৎসকরা জানান, আলী হোসেনকে নকলা হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছেন।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রিয়াদ মাহমুদ বলেন, আমরা খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করার পাশাপাশি গুরুতর আহতদের ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সাইদুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন- আমরা এরইমধ্যে অপরাধীদের খোঁজখবর নেয়া শুরু করেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যেই এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবো।