ঈদুল আজহা

ঢাকার দুই সিটির ১৬ স্থানে বসবে অস্থায়ী পশুর হাট

প্রকাশ : ০৭ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে এবারো ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন এলাকার ১৬টি স্থানে বসবে অস্থায়ী পশুর হাট। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি এলাকায় আটটি ও ঢাকা উত্তর সিটি এলাকায় বসবে আটটি অস্থায়ী পশুর হাট। এছাড়া ডিএনসিসির গাবতলী ও ডিএসসিসির সারুলিয়া স্থায়ী পশুর হাটেও কোরবানির পশু বিক্রি করা হবে।

এরইমধ্যে এসব অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। দরপত্রও আহ্বান করা হয়েছে। দুই সিটিতেই আটটি করে হাট বসবে।

ডিএসসিসি ও ডিএনসিসির সংশ্লিষ্টরা জানান, ওই ১৬টি অস্থায়ী পশুর হাট ইজারা দিতে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে দরপত্র বিক্রি। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে ইজারা চূড়ান্ত হতে পারে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৯ জুন দেশে ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হবে।

ডিএনসিসি গত ২ মে আটটি পশুর হাটের দরপত্র আহ্বান করেন ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহে আলম। এই দরপত্র অনুযায়ী এক কোটি ১৩ লাখ ৭০ হাজার ২৬৭ টাকায় ভাটারা (সাঈদ নগর) সংলগ্ন খালি জায়গা, এক কোটি ২০ লাখ টাকায় উত্তরা দিয়াবাড়ি ১৬ ও ১৮ নম্বর সেক্টর সংলগ্ন বউ বাজার এলাকা, এক কোটি ৫১ লাখ ৬ হাজার ৬০ টাকায় বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং আফতাব নগর ব্লক বি থেকে এইচ পর্যন্ত খালি জায়গা, এক কোটি ৩৫ লাখ ৩৪ হাজার ৫৬০ টাকায় মিরপুর সেকশন-৬ এর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকা, ২৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় মোহাম্মদপুরের বছিলা, ৬০ লাখ ৬৩ হাজার ২০০ টাকায় ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের খেলার মাঠ, ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকায় কাওলা শিয়ালডাঙ্গা সংলগ্ন খালি জায়গা ও পাঁচ লাখ ৩১ হাজার ৬০ টাকায় ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাচকুড়া বেপারীপাড়ার রহমান নগর আবাসিক প্রকল্প এলাকায় পশুর হাটের দরপত্র আহ্বান করা হয়।

ডিএনসিসির সম্পত্তি বিভাগ সূত্র জানায়, আগামী ১৫ মে প্রথম পর্যায়ে দরপত্র বিক্রির শেষ দিন। পরদিন ১৬ মে দরপত্র দাখিল করতে হবে। একই দিন বিকেলে দরপত্র খোলা হবে। ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, ডিএনসিসির সম্পত্তি বিভাগ ও ১০টি আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে শিডিউল ক্রয় এবং জমা দেয়া যাবে। এর মধ্যে কাঙ্ক্ষিত দর না পেলে হাটগুলো আরো তিন দফায় দরপত্র আহ্বান করবে ডিএনসিসি।

ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঈদুল আজহায় পশুর হাট ইজারা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ অন্য অনেক কাজ থাকে। এ কাজের জন্য অন্তত দুই-তিন মাস আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে হয়। সে অনুযায়ী ডিএনসিসি আটটি অস্থায়ী পশুর হাটের দরপত্র আহ্বান করেছে। গাবতলীর স্থায়ী হাটেও কোরবানির পশু বিক্রি করা হবে। নগরে যাতে পশু কোরবানি এবং বর্জ্য অপসারণ সঠিক ব্যবস্থাপনায় হয়, তার সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

ডিএসসিসি

এদিকে গত ২৭ এপ্রিল সাতটি পশুর হাট ইজারায় দরপত্র আহ্বান করে ডিএসসিসি। এর মধ্যে সরকারি মূল্যে দুই কোটি ১৯ লাখ ৪৭ হাজার ৬৯২ টাকায় ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি কলেজ সংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, এক কোটি ৪৮ লাখ ৭৫ হাজার ৯২২ টাকায় পোস্তগোলা শশ্মানঘাট সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, এক কোটি ৭২ লাখ ৯ হাজার ১০০ টাকায় মেরাদিয়া বাজার সংলগ্ন খালি জায়গা, দুই কোটি ৯৯ লাখ ৪৫ হাজার টাকায় লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাব সংলগ্ন খালি জায়গা ও কমলাপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন খালি জায়গা, তিন কোটি ১৪ লাখ ৮২ হাজার ২৭৮ টাকায় যাত্রাবাড়ীর দনিয়া কলেজ সংলগ্ন খালি জায়গা, দুই কোটি ৪৮ লাখ ৫৯ হাজার ১২০ টাকায় ধোলাইখাল ট্রাকস্ট্যান্ড সংলগ্ন খালি জায়গা, ৩৯ লাখ ৩২ হাজার ৬০০ টাকায় লালবাগের রহমতগঞ্জ ক্লাব সংলগ্ন খালি জায়গায় দরপত্র আহ্বান করা হয়।

পরে গত ৩০ এপ্রিল আলাদা আরেকটি পশুর হাট ইজারায় দরপত্র আহ্বান করে ডিএসসিসি। এ হাটটি হলো আমুলিয়া মডেল টাউন সংলগ্ন খালি জায়গা। এটির সরকারি ইজারা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৯ লাখ ২৮ হাজার ২৫২ টাকা। এ হাটগুলো ইজারায় আগামী ২২ মে পর্যন্ত শিডিউল বিক্রি করা হবে। পরদিন ২৩ মে শিডিউল জমা এবং শিডিউল খোলা হবে। ডিএসসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান এই আটটি হাটের বাইরে ডিএসসিসির স্থায়ী পশুর হাট সারুলিয়ায় কোরবানির পশু বিক্রি হবে। সবগুলো হাটে যাতে সুষ্ঠুভাবে পশু বেচাকেনা করা যায়, যাবতীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে ডিএসসিসি।