দাম না কমলে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেবে কৃষি মন্ত্রণালয়
প্রকাশ : ১৭ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
দাম না কমলে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত কৃষি মন্ত্রণালয় নেবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র কৃষি মন্ত্রণালয় দিয়ে থাকে। কৃষক যাতে ন্যায্যমূল্য পায়, সেজন্য পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে না। কৃষি মন্ত্রণালয় বাজার পর্যবেক্ষণ করছে। যদি দাম না কমে তাহলে তারা ভারত থেকে আমদানির সিদ্ধান্ত নিবেন বলে জানিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠান শেষে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। টিপু মুনশি বলেন, বাজারে তেল ও চিনির দাম নির্ধারণ করে দেয়া হলেও কিছু অসদুপায়ী ব্যবসায়ী বেশি দামে বিক্রয় করছে। বাজার মনিটরিং এবং এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা করোনা মহাসংকটে টিকা ক্রয়ের জন্য অগ্রিম টাকা প্রদান করে সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। খাদ্য সংকট এড়াতে এক ইঞ্চি জমিও যেন পতিত না থাকে সেজন্য ফসল উৎপাদনের আহ্বান জানান। ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা ও স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণসহ যেসব নির্দেশনা প্রদান করেছেন বা করছেন এবং সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন তা একজন স্মার্ট প্রধানমন্ত্রীর পক্ষেই সম্ভব। শেখ হাসিনার মতো একজন স্মার্ট প্রধানমন্ত্রী পাওয়ায় আমরা সত্যিই ভাগ্যবান, যার ভিত্তি রচনা করে গেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রকৃতপক্ষে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকেই বুকে লালন ও ধারণ করেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা একবার উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে বলেছিলেন, আমাদের দেশের সীমান্তবর্তী ভারতীয় ভূমিতে যদি চা চাষ হয় তাহলে আমাদের ভূমিতে হবে না কেন! এরপর তার নির্দেশে পঞ্চগড়সহ সীমান্তবর্তী এলাকায় চা চাষের উদ্যোগ নেয়া হয়। বর্তমানে উত্তরবঙ্গ যে চা উৎপাদন হচ্ছে তা দেশের ১৫ শতাংশ চাহিদা পূরণ করছে এবং দিন দিন তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা তার স্মার্টনেস এবং সুদূরপ্রসারী চিন্তার ফসল। তিনি আরও বলেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর রপ্তানি নিয়ে যখন আমরা সবাই দিশেহারা তখন শেখ হাসিনা বলেছিলেন, এতো ভেঙে পড়ার কিছু নেই। তারপর প্রধানমন্ত্রীর নেয়া পদক্ষেপের কারণে রপ্তানির উপর কোনো প্রভাব পড়েনি। বরং পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে দ্বিতীয়। তার চিন্তা-চেতার কারণে বিশ্বের এখন ১০টি গ্রিন ফ্যাক্টরির ৭টি এবং শীর্ষ একশটি সবুজ শিল্প প্রকল্পের মধ্যে ৪৮টি বাংলাদেশে রয়েছে।