স্কাউট ও বিএনসিসির সহযোগিতায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব : মেয়র আতিক
প্রকাশ : ১৮ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
আসন্ন বর্ষা মৌসুমে এডিসের বংশবিস্তার নিয়ন্ত্রণে, মশক নিধন কার্যক্রমে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসির) সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) ও জাতীয় স্কাউট দল। মূলত তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মশক নিধন কার্যক্রম- জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করবে। ডিএনসিসি অঞ্চলে ৪০০ মিটার ী ৪০০মিটার গ্রিডে ভাগ করে এই সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। স্কাউট ও বিএনসিসির সহযোগিতায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব হবে। গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর মিরপুর-১ এ সনি সিনেমা হলের সামনে থেকে এই সচেতনতা কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন। সচেতনতা কার্যক্রম উদ্বোধন করে ডিএনসিসি মেয়র স্কাউট ও বিএনসিসির সদস্য এবং কাউন্সিলরসহ সবাইকে নিয়ে র্যালিতে অংশ নেন। এতে বিএনসিসি এবং স্কাউট দলের ২০০ সদস্য অংশ নেন। র্যালিটি সনি সিনেমা হলের সামনে থেকে শুরু হয়ে আল-নাহিয়ান উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। ডিএনসিসি মেয়র বিদ্যালয়ের মাঠে গিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন। ট্রাকে উঠে এডিস মশার উৎসস্থল-গাড়ির পরিত্যক্ত টায়ার, ডাবের খোসা, মাটির পাত্র, খাবারের প্যাকেট, অব্যবহৃত কমোড দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতন করেন তিনি। এ সময় তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গুর প্রকোপ রোধে জনগণকে সচেতন ও সম্পৃক্ত করতে আমরা ব্যাপক প্রচারণা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ডিএনসিসির কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাদের সাথে এবার মাঠে নেমেছে বিএনসিসি ও স্কাউট। বিভিন্ন অঞ্চলে ৪০০ মিটার ী ৪০০মিটার গ্রিডে ভাগ করে এই সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। আমরা বিশ্বাস করি, জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে।’ আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘এর আগে আমরা বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) ও জাতীয় স্কাউট দলের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আমরা পরিকল্পনা করেছি, বিএনসিসি ও জাতীয় স্কাউট দলের সদস্যরা বাড়িতে বাড়িতে যাবে এবং সাধারণ মানুষকে সচেতন করবে। এ বিষয়ে সামাজিক আন্দোলন সৃষ্টি করবে। মানুষকে বলবে, আপনাদের বাড়িতে জমা পানি ফেলে দিন। তাৎক্ষণিকভাবে ফেলে দিতে উদ্বুদ্ধ করবে তারা।’ ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘এখন বৃষ্টি হচ্ছে আবার রোদ উঠছে। এই রোদ বৃষ্টির জন্য আমাদের ক্যাম্পেইন শুরু করেছি। অন্যান্য সময় আমরা বিভিন্নভাবে ক্যাম্পেইন করি। আজ আমরা সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে শুরু করেছি। জনগণকে সম্পৃক্ত করতে না পারলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। আতিকুল ইসলাম বলেন, আজকের এই দিনটি বাঙালি জাতির জন্য একটি বড়দিন, বাংলাদেশের জন্য একটি বড়দিন, ১৭ কোটি মানুষের জন্য বড়দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ। দীর্ঘ নির্বাসন শেষে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশের মাটিতে পা রাখেন তিনি।