গতকাল শুক্রবার মধ্য রাত থেকে ২৩ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। এ উদ্যোগ সফল করতে গত এক সপ্তাহ ধরে প্রচার-প্রচারণাসহ বিভিন্ন জায়গায় তারা মতবিনিময় সভা করেছে। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য প্রশাসন বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মৎস্যজীবী, মৎস্য ব্যবসায়ী, ট্রলার ও নৌকা মালিক, জেলে, আড়তদার এবং বরফকল মালিকদের নিয়ে মৎস্য বন্দর আলীপুর, মহিপুর, কুয়াকাটা, গঙ্গামতি, চাড়িপাড়া, ঢোস, দেবপুর, পাটুয়াসহ উপকূলের বিভিন্ন স্থানে জনসচেতনতামূলক সভা করেছে। সরকার ঘোষিত ৬৫ দিনের সরকারের অভিযান সফল করতে সভায় অংশগ্রহণকারিরা মাছ আহরণ, বিপণন থেকে বিরত থাকতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছেন। কলাপাড়া উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহ জানান, এ সময় কলাপাড়া উপজেলায় নিবন্ধিত ১৮ হাজার ৩৫০ জন জেলেকে সরকারের পক্ষ থেকে ৪২ কর্মদিবসের জন্য মোট ৫৬ কেজি চাল ও বাকি ২৩ কর্মদিবসের জন্য মোট ৩০ কেজি চাল প্রদান করা হবে। শুধু মাত্র সাগরে মাছ ধরায় নিষেধ আছে। এ সময় তারা বিভিন্ন নদ নদীতে মাছ ধরতে পারবে।