বুদ্ধিমত্তায় বেঁচে গেল শিশু তাজিম

প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

স্কুল থেকে ফেরার পথে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ভূইগড়ের বাসিন্দা ওয়াসিক ফারহান তাজিম নামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রকে মাইক্রো বাসে তুলে নেয় দুর্বৃত্তরা। গত সোমবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকা থেকে তাকে তুলে নেয় হয়। পরে চোখ বেঁধে নিয়ে যায় পরিত্যক্ত একটি ঘরে। সেখান থেকে সুকৌশলে শিশুটি অক্ষত অবস্থায় পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়। তাজিমের বাবা সাংবাদিক হুমায়ুন কবির তমাল যাত্রাবাড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের পর গতকাল মঙ্গলবার পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মামুদপুর গ্রামের বাসিন্দা সাংবাদিক হুমায়ুন কবির তমালের ছেলে তাজিম সামসুল হক খান গত সোমবার স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পথে সাইনবোর্ড এলাকা থেকে তাকে হঠাৎ মাইক্রো বাসে তুলে নিয়ে যায় চার দুর্বৃত্ত। তাদের সবারই মুখে মাস্ক পরা ছিল। চোখ বেঁধে তাজিমকে নিয়ে যায় একটি পরিত্যক্ত ঘরে। সেখানে একটি চেয়ারে বসিয়ে তার হাত ও কোমর বেঁধে ফেলে। পরে খুলে দেয় চোখ। এরপর চারজনের মধ্যে দুজন বাইরে চলে যায়। অন্য দুজন দরজার পাশে অবস্থান নেয়। শিশুটির পাশেই একটি টেবিলে ছিল কয়েকটি ছুরি ও লাঠি। ছেলেটি মুখ দিয়ে সুকৌশলে ছুরি এনে বাঁধন কেটে ফেলে। পরে সে লাঠি দিয়ে আঘাত করে এবং কিল ঘুষি মেরে দুজনকে পরাস্ত করে দৌড়ে পালিয়ে আসে।

গাড়িতে চোখ বাঁধার সময় দুর্বৃত্তদের একজন অপরজনকে বলেছিল- এটাই তাদের শেষ অপারেশন। তাকে চালান করে দিয়ে আজই তারা গ্রামে চলে যাবে। তাজিম বলেছিল আমি গরিব ঘরের সন্তান। আমার বাবার টাকা নেই। তারপর একজন বলল চুপ কর। আমরা কি টাকা চেয়েছি? দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের সাবেক সিনিয়র সাব এডিরট বর্তমানে দৈনিক আজকের পত্রিকার সাংবাদিক হুমায়ুন কবির তমাল বলেন, এভাবে স্কুলের ইউনিফর্ম পড়া একটি শিশুকে নিয়ে যেতে পারে তা কল্পনাতীত। মহান আল্লাহ তাকে বুদ্ধি ও সাহস না দিলে সে হয়তো ফিরে আসত না। শুকরিয়া আদায় করছি আল্লাহর কাছে। ছেলেটি এখনো স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারছে না। ঘটনা তদন্ত করে অপহরণে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

যাত্রাবাড়ী থানার এসআই আ. রাহিম বলেন, অভিযোগ পেয়েই সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কয়েকটি সিসি ক্যামেরা চেক করছি। অপরাধীদের খুঁজে বের করতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।