পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশে জলবায়ু কর্মকাণ্ডের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রয়োজন। পরিবেশ, জলবায়ু ও জ্বালানি খাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে একত্রে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ। গতকাল বৃহস্পতিবার জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে আয়োজিত গ্লোবাল গ্রিন হাব কোরিয়া ২০২৩-এ ‘গ্রিন গ্রোথ ভিশন’ সেশনে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। শাহাব উদ্দিন বলেন, পরিবেশবান্ধব সবুজ প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে এবং বিশ্বকে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও উন্নত বাসযোগ্য স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা কোরিয়ার সরকার, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে করতে ইচ্ছুক। পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মতো জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ উন্নয়নশীল দেশে ব্যাপক কাঠামোগত পরিবর্তন এবং টেকসই পরিবর্তনের জন্য বেসরকারি অর্থায়ন ও ঋণের পরিবর্তে বহুপাক্ষিক উৎস থেকে সরকারি তহবিলকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। সব উন্নয়নশীল দেশকে সরবরাহ করতে হবে উন্নত ও সবুজ প্রযুক্তির সুবিধা। আর্থিকভাবে দুর্বল দেশগুলোর উন্নয়নের চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। মন্ত্রী বলেন, দেশে টেকসই উন্নয়নের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ কম কার্বন সবুজ উন্নয়নের পথ অনুসরণ করছে। আমরা ১২ শতাংশ জনসংখ্যার জন্য বিদ্যুৎ নিশ্চিতে অফ-গ্রিড এলাকায় ৬০ লাখের বেশি সোলার হোম সিস্টেম ইনস্টল করেছি। গ্রামীণ এলাকায় ৪৫ লাখের বেশি উন্নত রান্নার চুলা বিতরণ করেছি। পরিবেশ দূষণের ক্ষতিপূরণ হিসেবে বাংলাদেশে পলুটারস পে প্রিন্সিপল (পিপিপি) ধারণা চালু করা হয়েছে। বাংলাদেশকে জলবায়ু সহনশীল করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে শাহাব উদ্দিন বলেন, মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা ২০২২-২০৪১ দেশের ৪০ শতাংশ পর্যন্ত জ্বালানি নবায়নযোগ্য উৎস থেকে প্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনার কৌশলগত লক্ষ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে সমন্বিত পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিবেচনার সঙ্গে একটি সবুজ বৃদ্ধির কৌশল গ্রহণ করা শিল্পায়ন। আমাদের সরকার টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং সম্পদের টেকসই ব্যবহারের জন্য সার্কুলার ইকোনমি চালুর অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে।