ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে হয়রানি বন্ধ ও ৩ মাসের মধ্যে ফলাফল প্রদানসহ ৭ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় প্রথমে ঢাকা কলেজের সামনে মানবন্ধন এবং পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সাত কলেজের সমন্বয়ক ও ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে ইডেন কলেজের সামনে হাজির হন তারা। এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি সংবলিত বিভিন্ন স্লোগান দেন।
দুপুর সাড়ে ১২টায় শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল সমন্বয়কের সঙ্গে দেখা করতে তার কার্যালয়ে প্রবেশ করে। বাকি শিক্ষার্থীরা ইডেন কলেজের সামনে অবস্থান নেন। বিক্ষোভে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা ইডেন কলেজের অধ্যক্ষের কাছে ৭ দফা দাবি পেশ করেন।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মিলন মাহমুদ বলেন, আমরা একটা পরীক্ষা দিয়ে আরেকটা পরীক্ষা দেয়ার কিছু আগে বা পরে আমাদের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। অনেকের ননপ্রমোটেড দেখায়। তখন আসলে ওই শিক্ষার্থীর কি করার থাকে? এমন হয়রানি কেন? আমরা আমাদের দাবিসমূহ সাত কলেজের সমন্বয়কের স্বাক্ষরসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনে জমা দিতে গিয়েছিলাম। সেখানে আমাদের দাবিগুলো তারা দেখেইনি। আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবি কার কাছে জানাব? আমাদের কী কোনো অভিভাবক নেই? এজন্য বাধ্য হয়ে আজ আন্দোলনে নেমেছি।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের হয়রানির কারণ ব্যাখ্যা এবং শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ করা; যেসব শিক্ষার্থী পরবর্তী বর্ষের ক্লাস, ইনকোর্স ও টেস্ট পরীক্ষা পর্যন্ত অংশগ্রহণ করার পর জানতে পেরেছে নন-প্রমোটেড, তাদের মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষের পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ দেয়া; বিলম্বে ফলাফল প্রকাশের কারণ ও এই সমস্যা সমাধানে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তার ব্যাখ্যা দেয়া এবং সর্বোচ্চ তিন মাস (৯০ দিনের মধ্যে) ফলাফল প্রকাশ করা; সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অভিভাবক কে বা কারা, কোথায় তাদের সমস্যাসমূহ উপস্থাপন করবে তা ঠিক করে দেয়া; একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা, শিক্ষক সংকট, ক্লাসরুম সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং সব বিষয়ে পাস করার পরও শিক্ষার্থীরা সিজিপিএ শর্তের জন্য নন-প্রমোটেড হওয়ায় সিজিপিএ শর্ত শিথিল করা।