আগামী ২০২৬ সালে নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে এসএসসি পরীক্ষা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘স্মার্ট এডুকেশন ফেস্টিভ্যাল’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন। নতুন শিক্ষাক্রমের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রয়োজন স্মার্ট সিটিজেন। স্মার্ট শিক্ষার মধ্য দিয়েই স্মার্ট সিটিজেন তৈরি হবে। আর স্মার্ট শিক্ষার বড় উপাদান হলো নতুন শিক্ষাক্রম। অনেক পরিশ্রম করে আমরা সবাই মিলে একটা ভালো শিক্ষাক্রম তৈরি করতে পেরেছি।’ তিনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম পুরোপুরি বাস্তবায়ন হতে লাগবে ২০২৫ সাল (দশম শ্রেণি পর্যন্ত)। ২০২৬ সালে গিয়ে শিক্ষার্থীরা নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি পরীক্ষা দেয়া শুরু করবে।
দীপু মনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে মূল্যায়ন প্রক্রিয়াটি এ বছর থেকে চালু হচ্ছে। তবে এর নানান দিক বুঝে উঠতে একটু সময় লাগবে। শিক্ষক ও অভিভাবকদের অভ্যস্ত হতেও কিছুটা সময় লাগবে। তবে শিক্ষার্থীরা দ্রুত অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে এবং যাবে। তিনি বলেন, ‘স্মার্ট শিক্ষার কৌশল নির্ধারণে এ এডুকেশন ফেস্টিভ্যাল আয়োজন করা হয়েছে। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও বিশেষজ্ঞদের মতামত আমরা পাব। এর ফলে আমরা আমাদের পরিকল্পনাকে সঠিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।’
অনুষ্ঠানে জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ সংশোধনের ইঙ্গিত দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, স্মার্ট শিক্ষার লক্ষ্যে রূপান্তরিত প্রক্রিয়ার আলোকে স্মার্ট শিক্ষানীতি প্রবর্তন ও সেটি কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায় সেই আলোচনা অবশ্যই আনা প্রয়োজন এবং আসছে। তিনি বলেন, তারা শিক্ষার রূপান্তরের জন্য সবাই মিলে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট শিক্ষার কৌশল নির্ধারণে মাউশি অধিদপ্তর তিন দিনব্যাপী এই ‘স্মার্ট এডুকেশন ফেস্টিভ্যাল’ আয়োজন করেছে। এতে ২০টি স্মার্ট শিক্ষা কার্যক্রম প্রদর্শন ও ১১টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে, যার মাধ্যমে একটি কেন্দ্রীয় স্মার্ট শিক্ষা ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করা হবে। মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) শাহেদুল খবীর চৌধুরী প্রমুখ।
