ঢাকা ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে

বললেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে

বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সব ধরনের জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত গ্যাস ও বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। বাড়তি জ্বালানি জোগান দিয়ে দেশের শিল্পায়ন এবং অর্থনীতিকে আরো গতিশীল করতে গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানির চাহিদা বাড়ছে। প্রয়োজনীয় জ্বালানি সঠিক সময়ে সরবরাহের উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার কাতারের দোহায় বাংলাদেশে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহের ১৫ বছর মেয়াদি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী কাতার সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ এবং কাতারের মধ্যকার এই জ্বালানি মৈত্রী, দুই দেশের বিরাজমান বন্ধুত্বে এক নতুন মাত্রা যোগ করল। পৃথিবীজুড়ে জ্বালানি অস্থিরতার এই সময়ে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিটি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত স্বস্তিদায়ক অর্জন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কূটনৈতিক দক্ষতার জন্যই দ্রুত এই দীর্ঘমেয়াদি এলএনজি চুক্তি স্বাক্ষর করা সম্ভব হয়েছে। কাতারে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী সাদ বিন সেরিদা আল কাবি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বলেছেন, বাংলাদেশে বৃহত্তম এলএনজি সরবরাহকারী দেশ হতে পেরে আমরা গৌরবান্বিত। বার্ষিক ৩.৫ মিলিয়ন টন এলএনজি সরবারাহ বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থাসহ সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখবে। চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ নাথ সরকার ও কাতার এনার্জি ট্রেডিংয়ের পক্ষে নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ আহমাদ আল হোসাইনি স্বাক্ষর করেছেন। এসময় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন। এ চুক্তি ১৫ বছর (২০২৬ সাল হতে ২০৪০) মেয়াদি। ২০২৬ সালে ১২ কার্গো এলএলজি (অতিরিক্ত ১২ কার্গো অপশনসহ) এবং ২০২৭ সালে ২৪ কার্গো এলএনজি (যা কম বেশি ১.৫ এমটিপিএ এলএনজির সমতুল্য) বাংলাদেশে আসবে। কাতারে রাস গ্যাসের সঙ্গে প্রথম চুক্তি হয়েছিল ২০১৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর। ১৫ বছর (২০১৮ সাল হতে ২০৩৩ সাল পর্যন্ত) মেয়াদি এই চুক্তি থেকে ১.৮-২.৫ এমটিপিএ এলএনজি (বর্তমানে ২.৫ এমটিপিএ, ৪০ কার্গো এলএনজি) পাওয়া যাচ্ছে। উভয় চুক্তিই কাতারের সঙ্গে জি টু জি প্রক্রিয়ায় করা হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত