ঢাকা ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মানসম্পন্ন কাজের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখুন

বললেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
মানসম্পন্ন কাজের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখুন

গুণগত ও মানসম্পন্ন কাজের মাধ্যমে প্রকৌশলীদের জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখার আহ্বান জানিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন হলে সে উন্নয়নের সুফল সবাই পায়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর আয়োজিত ২৩০টি উপজেলা পর্যায়ে স্থাপিত এলজিইডির মান নিয়ন্ত্রণ ল্যাবরেটরির উদ্বোধন, ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন সংক্রান্ত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মানুষের চাহিদা অফুরন্ত, সেই অফুরন্ত চাহিদাকে পূরণ করতে হলে প্রকৌশলীদের আন্তরিকতা ও একাগ্রতার মাধ্যমে কাজ করতে হবে বলে উল্লেখ করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী। উন্নয়নের জন্য উন্নত যোগাযোগব্যবস্থা অপরিহার্য উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর গ্রামীণ যোগাযোগ ও অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ করছে। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক উন্নতি জরুরি। কারণ এতে শুধু দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নই হয় না, বহির্বিশ্বে জাতি হিসেবে আমাদের সম্মান বৃদ্ধি পায়। নিজেদের আত্মবিশ্বাসী ও আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে হলে আমাদের আরো অর্থনৈতিক সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান শক্তিশালী হয়েছে এবং ভাবমূর্তিও উজ্জ্বল হয়েছে। এ অগ্রযাত্রাকে সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে হলে সবাইকে আরো পরিশ্রমী হতে হবে। বৈদেশিক ঋণের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, একটা সময় ঋণ নিতে আমাদের উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে ধরনা দিতে হতো। কিন্তু এখন পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। এখন আমরা আমাদের প্রয়োজন অনুসারে ঋণ নেই এবং সেই অর্থ কোথায় জনগণের কল্যাণে ব্যয় হবে তাও আমরা নির্ধারণ করি। এছাড়া ঋণ পরিশোধে বাংলাদেশের সুনাম রয়েছে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকারের বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম। সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শেখ মোহাম্মদ মহসিন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত