সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে যমুনা নদীর কয়েকটি স্থানে ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনে বাড়িঘর ও বহু গাছপালা নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এতে গৃহহারা হয়ে অনেক পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ব্রাহ্মণগ্রাম আরকান্দিসহ বিভিন্ন স্থানে যমুনা নদীতে এ ভাঙন শুরু হয়েছে। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে এ ভাঙনে অর্ধশতাধিক বাড়িঘর, গাছপালা ও বহু জায়গা জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ ভাঙন ঠেকাতে কয়েক দিন ধরে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ধীরগতিতে কাজ করায় ভাঙনরোধে তেমন কাজে আসছে না। ভাঙনের স্থানে বস্তা ফেলা হলেও সেখানে আবারো ভাঙন দেখা দিচ্ছে।
স্থানীয়রা বলেছেন, ভাঙন এলাকার প্রায় ১০০ গজ দূরে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে ভাঙন স্থানে বস্তা ফেলার পরও আবারো ভাঙন দেখা দিচ্ছে। এ বালু উত্তোলনে সরকারের কোটি কোটি টাকা লোপাট হলেও ভাঙন রোধ হচ্ছে না। কয়েক দিন ধরে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে ক্রমাগতভাবে। অথচ শুষ্ক মৌসুমে ভাঙনরোধের কাজ না করে পানি বৃদ্ধি পেয়ে যখন ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে, ঠিক তখন থেকেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ধীরগতিতে নৌকাযোগে বস্তা ফেলছে। কয়েক দিন যেতে না যেতেই আবারো ভাঙনে জনপদ বিলিন হয়ে যায়। এতে এ বস্তা ফেলা কোনো কাজেই আসছে না এবং কতিপয় প্রভাবশালীরা প্রতিদিন বালু বিক্রি করায় এ ভাঙনের তাণ্ডব আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। বালু ব্যবসায়ীরা অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে অন্যত্র বিক্রি করা হচ্ছে না। ঠিকাদারের লোকজন বালু উত্তোলন করে তা ভাঙন স্থানে ফেলা হচ্ছে।
একটি কুচক্রিমহল ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা অপপ্রচার করছে। এ বিষয়ে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ভাঙনরোধে যথানিয়মের কাজ চলছে। কাজে ধীরগতির কোনো কারণ নেই। শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন আলোকিত বাংলাশেকে বলেন, ভাঙনরোধে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করেছে। শিগগিরই ভাঙন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এবং এ ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি হচ্ছে। তাদের আর্থিক সহযোগিতা করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।