বন্ধুর জীবনবৃত্তান্তে ছবি বসিয়ে ৩ বছর চাকরি করে ১৯ লাখ টাকা নিয়ে উধাও
২ বছর পর গ্রেপ্তার
প্রকাশ : ০৯ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
গ্রামের বাল্যবন্ধুর জীবনবৃত্তান্তে ছবি বসিয়ে এবং কৌশলে সব সনদের ফটোকপি সংগ্রহ করে ঢাকায় ৩ বছর চাকরি করে ১৯ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায় মো. হেলাল উদ্দিন (৩৫)। সে মূলত নিজের নাম পরিচয় গোপন করে জাহাঙ্গীর আলম নামে এক স্কুল সহপাঠীর শিক্ষাগত সনদপত্র, জন্ম সনদ এবং বায়োডাটা ব্যবহার করে সেখানে নিজের ছবি যুক্ত করে বনে যান মো. জাহাঙ্গীর আলম নামে। ২০১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বরে তানজিম প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের অফিসার (সেলস অ্যান্ড বিপণন) পদে নিয়োগও পান তিনি। প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদিত প্লাস্টিক সামগ্রী বিভিন্ন দোকান, অফিস ও প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে ১৯ লাখ ২১ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যায়। ঘটনার ২ বছর পর আসামির বিরুদ্ধে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে চাকরি করে প্রতারণা ও বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত বুধবার রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। গতকাল দুপুরে এ তথ্য জানান পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আবু ইউসুফ। তিনি জানান, ২০১৮ থেকে ২০২১ সালের ৯ মে পর্যন্ত তানজিম প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড কোম্পানিতে অফিসার (সেলস অ্যান্ড বিপণন) পদে মো. জাহাঙ্গীর আলমের নাম ধারণ করেই কাজ করে আসছিলেন তিনি। এ সময় হেলাল উদ্দিন প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদিত প্লাস্টিকসামগ্রী বিভিন্ন দোকান, অফিস ও প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে মোট ১৯ লাখ ২১ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে অফিসে জমা না দিয়ে সেই টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় তানজিম প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ গোলাম হোসেন ২০২১ সালেই মামলা করেন।
মামলার তদন্তের বিষয়ে পিবিআই জানায়, মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর দেখা যায়, যার কাগজপত্র ব্যবহার করা হয়েছে তিনি প্রকৃতপক্ষে মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং হেলাল উদ্দিনের স্কুল জীবনের সহপাঠী ছিল। তিনি বর্তমানে ভোলার চর মোতাহার আলিম মাদ্রাসায় চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী পদে চাকরি করছেন।