টেকনাফে মৎস্যঘের জবর দখলের চেষ্টা
২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি
প্রকাশ : ১০ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার
কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং লাতুরিখোলা এলাকায় একটি চক্র চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির মৎস্যঘের জবরদখলের চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। চক্রটি জবরদখল নিতে না পেরে তাণ্ডব চালিয়ে ঘেরের ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী লোকজন গত বৃহস্পতিবার রাতে টেকনাফ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগে প্রকাশ, বেশ কয়েক বছর আগে স্থানীয়ভাবে দুই একর জায়গায় চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির মৎস্যঘের করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মৎস্যঘেরে মাছ উৎপাদনের জন্য প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা হয়। এ বছরও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে ভোগ দখলে রয়েছেন লাতুরিখোলা এলাকার মৃত ফকির মোহাম্মদের ছেলে ওমর আলী, বাচা মিয়ার ছেলে আনু মিয়া, আতর আলীর ছেলে কবির আহমদসহ অন্যরা। গত ৬ জুন দুপুরের দিকে অতর্কিতভাবে স্থানীয় আবু তালেবের ছেলে সাবেক মাস্টার ছব্বির আহমদ, সৈয়দ হোসেনের ছেলে আব্দুল আলীম, সৈয়দ ফকিরের ছেলে মো. ছিদ্দিক, আবু সিদ্দিক সোলতান আহমদের ছেলে মো. আলমগীর, ওলামিয়া ফকিরের ছেলে মো. আলম, আব্দুল কাদেরের ছেলে মো. সোহেল, বাদশা মিয়ার ছেলে জসিম উদ্দিন, মোহাম্মদ কবিরের ছেলে কোরবান আলী, শাহাব মিয়ার ছেলে আবুল ফয়েজ ওরফে সোনা মিয়া, আবু সিদ্দিকের ছেলে আবু তাহের ঝিমংখালী এলাকার মো. ইব্রাহীমসহ রোহিঙ্গা ভাড়া করে প্রায় দেড় শতাধিক লাঠিয়াল বাহিনী মৎস্যঘেরটি জবরদখল করতে অপচেষ্টা চালায়। তাদের বাধা দেয়া হলে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দ্বারা বেধড়ক পিটিয়ে জিম্মি করে রেখে মৎস্যঘেরের বাঁধ কেটে পানি ছেড়ে দেয়া হয়। পরে সব মাছ শিকার করে নিয়ে যায় ওই চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা। এতে তাদের ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান আবুল কালাম। এদিকে এই ঘেরটি নিয়ে মামলা চলছে বলেও জানা গেছে। এ মামলায় নিষেধাজ্ঞার জন্য সাবেক মাস্টার ছব্বির আহমদ ও আব্দুল আলীমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হলেও তারা আদালতে হাজির হননি বলে জানান বাদী পক্ষের আইনজীবী এসএম ইব্রাহিম খলিল। এ কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আদালতের শরণাপন্ন হবেন বলেও জানান এই আইনজীবী। হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এসআই) মো. রুকনুজ্জামান জানান, এখনো অভিযোগ হাতে পাইনি, পেলেই খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।