বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ।
গতকাল বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের নির্দেশে আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ২০০১-২০০৬ সাল সারা দেশে বিএনপি-জামায়াতের তাণ্ডবে মানুষ ভীত-সন্ত্রস্ত ছিল। মানুষের কথা বলার অধিকার ছিল না। আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়েছে। মূলত বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসনের কারণেই ১/১১-এর সৃষ্টি হয়েছিল। ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই তৎকালীন সেনাসমর্থিত অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক ও বানোয়াট মামলা দেখিয়ে গ্রেপ্তার করেছিল। যে মানুষটি সারা জীবন মানুষের অধিকারের জন্য, ভোট ও ভাতের অধিকারের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করল সেই মানুষটিকেই গ্রেপ্তার করেছিল।
তিনি আরো বলেন, সেদিন শুধু রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকেই গ্রেপ্তার করা হয়নি, গ্রেপ্তার করা হয়েছিল গোটা বাংলাদেশকে, অবরুদ্ধ করা হয়েছিল গণতন্ত্রকে। নেত্রীর মুক্তির জন্য সারা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল। আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমেই আমরা সেদিন নেত্রীকে মুক্ত করেছিলাম। তাই ১১ জুন শুধু বঙ্গবন্ধুকন্যার কারাগার থেকে মুক্তির দিবস নয়, ১১ জুন হলো গণতন্ত্রের মুক্তির দিবস, অন্ধকার থেকে আলোর পথের যাত্রা।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ, মো. হাবিবুর রহমান পবন, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, মুহাম্মদ বদিউল আলম, মো. রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান চপল, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচএম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, ক্রীড়া সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দিন চৌধুরী পারভেজ, ধর্ম সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান সরদার, উপদপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা প্রমুখ।