মৌসুমের আগেই মৎস্যভাণ্ডারখ্যাত চলনবিল এলাকার সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে কারেন্ট জাল বিক্রি হচ্ছে।
এ অবৈধ কারেন্ট জাল বিক্রি রোধে প্রশাসন নজর দিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চলনবিলসহ বিভিন্ন নদীনালাতে সম্প্রতি বৃষ্টি ও জোয়ারে মাছ চলে এসেছে। এ মাছ শিকারে কারেন্ট জাল কেনার হিড়িক পড়েছে। সরকারিভাবে যেখানে জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হচ্ছে। অথচ অসৎ ব্যবসায়ীরা অবৈধ কারেন্ট জাল বিক্রি করছে।
মাছের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এ জাল আইনে নিষিদ্ধ। কিন্তু সেই আইন মানছে না কেউ। এ জালের বিশেষ সুতা অতি সূক্ষ্ম এবং খাল বিলে পাতার পরে মাছে দেখতে পায় না। বিদ্যুতের মতো সব মাছ আকর্ষিত হয়ে আটকে যাওয়ায় এর নাম কারেন্ট জাল। প্রতি কেজি কারেন্ট জাল প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে এই অঞ্চলের বিভিন্ন হাটবাজারে। বর্ষা শুরু না হলেও সম্প্রতি বৃষ্টি ও জোয়ারে নদীনালায় পানিতে ভরে উঠছে। এ সুযোগে হাটবাজারে কারেন্ট জাল কেনাকাটাও শুরু হয়েছে।
ওই উপজেলার নওগাঁ, বারুহাস, রাণীরহাটসহ বিভিন্ন স্থানে এ কারেন্ট জাল বিক্রি হচ্ছে। সরকারি নিয়মে ছোট মাছ ধরা নিষেধ থাকলেও এখানে মানা হচ্ছে না নিময়নীতি। বিশেষ করে এসব জাল দিয়ে বিভিন্ন নদী-খাল-বিলে দেশি প্রজাতির ডিমওয়ালা ও জলাশয়ে অবমুক্ত করা পোনা মাছ নিধন করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মৎস্য কর্মকর্তা জানান, কারেন্ট জাল বিক্রির বিষয়টি শুনেছি। শিগগিরই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।