সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বলেছেন, সাহিত্য সমাজের দর্পণ, রাষ্ট্রকে বিকশিত করতে একটি দেশের সাহিত্যকর্ম অতুলনীয় ভূমিকা রাখে। সাহিত্যের মাঝে সমাজের সৃষ্টিশীলতাকে দেখা যায়। গতকাল ময়মনসিংহ নগরীর টাউন হল প্রাঙ্গণে অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত বিভাগীয় সাহিত্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। তিনি বলেন, সাহিত্যের মধ্য দিয়ে দেশকে বিভিন্ন পর্যায়ে পৌঁছে দিতে লেখার কোনো বিকল্প নেই। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৃহত্তর ময়মনসিংহে কাব্যচর্চার সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। মহাকাব্যের কবি থেকে শুরু করে ছড়ার জাদুকর এ বৃহত্তর ময়মনসিংহে খুঁজে পাওয়া যায়।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রশাসনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায়, বাংলা একাডেমির সমন্বয়ে ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এ বিভাগীয় মেলার আয়োজন করা হয়। তৃণমূল পর্যায়ের সাহিত্যিকদের সৃষ্টকর্ম জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরার লক্ষ্যে এ মেলার আয়োজন।
ময়মনসিংহ বিভাগের চারটি জেলা ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা, শেরপুর, জামালপুর থেকে আগত লেখক, সাহিত্যিক, গবেষক দুই দিনব্যাপী এ সাহিত্য মেলায় অংশ নেন। অঞ্চলভিত্তিক স্টলে তারা তাদের সাহিত্যকর্মকে বিশ্বের দুয়ারে তুলে ধরেন। ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মো. শফিকুর রেজা বিশ্বাসের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নুরুল হুদা। তিনি আরো বলেন, দীনেশ চন্দ্র সেনের ময়মনসিংহ গীতিকা বিখ্যাত।
বৃহত্তর ময়মনসিংহের সাহিত্যকর্ম শুধু দেশেই নয়, এটি বিশ্বেও সমাদৃত।
এ মেলার মাধ্যমে সাহিত্যপ্রেমীদের সাহিত্যকর্মে আরো উদ্বুদ্ধ করবে, এই প্রত্যাশা রাখি। উদ্বোধনী আলোচনা সভায় লেখক ও গবেষক (সাবেক সচিব) কেএইচ মাসুদ সিদ্দিকী, যুগ্মসচিব মো. মিজানুর রহমান, জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাফিজার রহমান, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. এহতেশামুল আলম বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন। ঢাকা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ময়মনসিংহ বিভাগীয় ও জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা, ময়মনসিংহ বিভাগের চারটি জেলার কবি, লেখক সম্প্রদায়, গবেষক, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা, শিক্ষকমণ্ডলী, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
