জুলাই থেকে ভাড়া বাড়ছে ভারত-বাংলাদেশের তিন ট্রেনের

প্রকাশ : ১৮ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেনের নতুন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ১ জুলাই থেকে নতুন ভাড়ায় চলবে মৈত্রী, মিতালী, বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন। বর্তমান ভাড়ার চেয়ে বাড়ানো হয়েছে তিনটি ট্রেনের ভাড়া।

গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালকের কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (ইন্টারচেঞ্জ) মো. মিহরাবুর রশিদ খাঁন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ অনুযায়ী, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আন্তঃদেশীয় মৈত্রী এক্সপ্রেস, বন্ধন এক্সপ্রেস এবং মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনের নির্ধারিত ভাড়া সমন্বয় করা হয়ে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে ডলারের মূল্যমান এবং ট্রাভেল ট্যাক্স বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। জানা গেছে, বাংলাদেশ ভারতের মধ্যকার রেল যোগাযোগের জন্য মৈত্রী এক্সপ্রেস, মিতালী এক্সপ্রেস, বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনের নতুন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর করা হবে নতুন এই ভাড়ার তালিকা। মৈত্রী এক্সপ্রেস, বন্ধন এক্সপ্রেস এবং মিতালী এক্সপ্রেস আন্তঃদেশীয় যাত্রীবাহী ট্রেনের ভাড়া পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয়। গত ৬ জুন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালকের কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (ইন্টারচেঞ্জ) মো. মিহরাবুর রশিদ খাঁন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ নতুন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়।

মৈত্রী এক্সপ্রেস : ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল ঢাকা-কলকাতা রুটে মৈত্রী এক্সপ্রেস চালু হয়। ট্রেনটি সপ্তাহে পাঁচ দিন (শুক্রবার, শনিবার, রোববার, মঙ্গলবার এবং বুধবার) ঢাকা থেকে কলকাতা যায়। আর কলকাতা থেকে ঢাকা আসে সপ্তাহে পাঁচ দিন (শুক্রবার, শনিবার, সোমবার, মঙ্গলবার, বুধবার)। মৈত্রী এক্সপ্রেসে রেলপথে ঢাকা-কলকাতা এসি সিটের ভাড়া ৪ হাজার ৭৯৫ টাকা যা বর্তমানে ভাড়া রয়েছে ৪ হাজার ১৯৫ টাকা। এসি চেয়ারের ভাড়া ২ হাজার ৯৬৫ টাকা থেকে বেড়ে ৩ হাজার ৫৩০ টাকা করা হয়েছে। ১ থেকে ৫ বছরের শিশুদের জন্য ৫০ শতাংশ ছাড় রয়েছে। এক্ষেত্রে পাসপোর্ট অনুসারে বয়স নির্ধারিত হবে। সিঙ্গেল কেবিনে তিনটি সিট এবং ডাবল কেবিনে ছয়টি সিটের টিকিট দেয়া হয়।

মিতালী এক্সপ্রেস : ২০২১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঢাকায় মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই রেলপথের দূরত্ব ৫৩০ কিলোমিটার। এর মধ্যে ভারত অংশে ৮৪ কিলোমিটার। বাংলাদেশ অংশে ৪৪৬ কিলোমিটার। এই পথের জন্য ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে এসি চেয়ার ৩ হাজার ৭৮৫ টাকা যার বর্তমানে ভাড়া রয়েছে ৩ হাজার ২১০ টাকা। এসি সিট ৪ হাজার ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ হাজার ১৭৫ টাকা এবং এসি বার্থ ৫ হাজার ৯১৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬ হাজার ৫৭০ টাকা করা হয়েছে।

বন্ধন এক্সপ্রেস : বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর বন্ধন এক্সপ্রেস চালু হয়। এই ট্রেনটি খুলনা-কলকাতা রুটে চলাচল করছে। ট্রেনটিতে এসি সিট ও এসি চেয়ারের ব্যবস্থা রয়েছে। খুলনা-কলকাতার এসি সিটের ভাড়া বাড়িয়ে ২ হাজার ৯০০ টাকা করা হয়েছে। এসি চেয়ারের ভাড়া বাড়িয়ে ২ হাজার ২৬৫ টাকা করা হয়েছে। ৫ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের ভাড়া হবে মূল ভাড়ার ৫০ শতাংশ। ভ্রমণ, চিকিৎসা ও ব্যবসার কাজে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাতায়াত করে দেশের মানুষ। ট্রেনে ভ্রমণ আরামদায়ক ও সাশ্রয়ী হওয়ায় এই বাহনে যাতায়াত করে হাজারো মানুষ।