চট্টগ্রামের জামালখান মোড়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিফলক ভাঙচুরে জড়িতদের শাস্তির দাবি ও বিএনপির নৈরাজ্যের প্রতিবাদে কক্সবাজারের রামুতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে রামু মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড।
গতকাল সকাল ১১টাই রামু উপজেলা শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড রামু উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক খালেদ হোসাইন টাপুর সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ রামু উপজেলা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড রামু উপজেলা শাখার সভাপতি আনছারুল হক ভুট্টো। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে সাবেক ডেপুটি কমান্ডার রনধীর বড়ুয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা রশিদ আহমদ বিএ, মাইমুনুর রশিদ, আবুল কালাম আজাদ, ফুরুক আহমদ, ফরিদ আহমেদ, ফনিন্দ্র বড়ুয়া, নুরুল আমিন, শামসুল আলম, অজিত শর্মা, নুরুল ইসলাম, মোক্তার আহমদ, আব্দুল জব্বার, আব্দুস সালাম, সুখেন্দ বড়ুয়া, আব্দুল শুক্কুর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিপ্লবী জীবনের ইতিহাসকে তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে জামালখানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালসহ ট্যাম্পার্ড গ্লাসে ৫০টি চিত্রকর্ম স্থাপন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দেশকে উন্নয়নের স্বর্ণশিখরে নিয়ে যাচ্ছেন, তখনই বিএনপি-জামায়াত-এর দুষ্কৃতকারীরা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুরের মাধ্যমে দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শুধু কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা নন, তিনি আমাদের জাতির পিতা। তার সঙ্গে দেশের স্বাধীনতার অস্তিত্ব জড়িত। আমরা বেঁচে থাকতে তারা এই স্বাধীন বাংলায় আগের মতো হীন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করতে পারবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ও আদর্শ প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে শেষে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।