রাঙামটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বলেছেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে আলেম সমাজের ভূমিকা অপরিসীম। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে মসজিদের ইমাম, খতিব এবং সর্বোপরি আলেম সমাজের গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সমাজের মানুষ নানান সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আলেম সমাজের পরামর্শ গ্রহণ করে থাকেন। তাই নিয়মিতভাবে জুমার খুতবাসহ বিভিন্ন ওয়াজে সচেতনতামূলক আলোচনা অব্যাহত রেখে যুবসমাজসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে ধর্মের সঠিক জ্ঞান প্রদান করার মাধ্যমে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদসহ সামাজিক নানা অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আলেম সমাজ অপরিসীম ভূমিকা রাখতে পারবে। গতকাল বৃহস্প?তিবার সকালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন, রাঙামাটি জেলার আ?য়োজ?নে রাঙামাটি প্রেসক্লাব হলরুমে অনু?ষ্ঠিত সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে আলেম ওলামাদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অ?তিথির বক্তব্যে তি?নি এ কথা বলেন। পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী এরই মধ্যে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ পুলিশ উগ্রবাদ, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মুলে সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রয়োজনে আলেম সমাজের সঙ্গে সমন্বয় করে জেলা পুলিশ কাজ করবে বলে তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন, রাঙামাটি জেলার উপ-পরিচালক মুহাম্মদ ইকবাল বাহার চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে প্রেসক্লাব সভাপতি সাখাওয়াত হো?সেন রুবেল, বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
