বাস কাউন্টারে বাড়ছে ঘরমুখো মানুষের ভিড়

প্রকাশ : ২৪ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

পবিত্র ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। এর মধ্যেই বাস কাউন্টারগুলোয় ঘরমুখো মানুষের ভিড় দেখা গেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি হয়ে যাওয়ায় অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদ উদযাপন করতে ছুটছেন গ্রামের বাড়িতে। গতকাল রাজধানীর কল্যাণপুর, শ্যামলী ও গাবতলীতে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র। পরিবহন কর্তৃপক্ষরা জানিয়েছেন, ঈদে ঘরফেরত মানুষের ভিড়টা অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার একটু বেশি। গত ২১ তারিখ থেকে কাউন্টারগুলোয় যাত্রীদের চাপ রয়েছে। এ চাপ দ্বিগুণ হবে বলে মনে করছেন তারা। এ বিষয়ে কল্যাণপুর শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের জিএম রাইসুল ইসলাম সবুজ বলেন, গত ২১ তারিখ থেকে বাস কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের চাপ রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো শিডিউল বিপর্যয় না হলেও শঙ্কা রয়েছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, যে গাড়ি ভোর চারটার সময় আসার কথা ছিল সেটা আজ সকাল ৯টায় এসে পৌঁছাল। যমুনা সেতুতে জ্যাম তৈরি হয়েছে, এতে করে আগামীতে শিডিউল বিপর্যয় হতে পারে, এমন একটা ধারণা করা হচ্ছে। গত ঈদে রাস্তা ক্লিয়ার ছিল, কিন্তু এবার জ্যামের ভাব চলে আসছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরও জানান, বিআরটিএ’র নির্ধারিত দামে টিকিট বিক্রি হয়েছে, এবারও আগেই অনলাইনে সব টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে। এখন যে দুইচার জন যাত্রী আসছেন, তাও পেছনের এক দুইটা সিট পাচ্ছেন। জুরাইন থেকে কল্যাণপুর বাস কাউন্টারে নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা আগে এসেছেন দিনাজপুরগামী যাত্রী শামসুল আলম। তিনি বলেন, একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি।

ঈদের ছুটি ২৭ জুন থেকে শুরু হলেও আমি অফিস থেকে ২৪, ২৫ ও ২৬ জুন ছুটি নিয়েছি, তাই সাপ্তাহিক বন্ধ হওয়ায় ঈদ করতে পরিবার নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি। অনেকটা সময় বাকি থাকলেও আগেই কাউন্টারে এসে অপেক্ষা করছি। বাড়িতে পরিবারের সবার সঙ্গে ঈদ করার আনন্দটাই অন্যরকম। তাই একটু-আধটু কষ্ট কোনো বিষয় না। বাস কাউন্টারগুলো অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা অনলাইনে বিআরটিএ’র নির্ধারিত ভাড়াতেই টিকিট করেছি। এখানে বেশি ভাড়া দেওয়ার সুযোগ নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন। প্রতি বছরই ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকে আমাদের চাপ বাড়তে থাকে। শেষ দিকে এটা কয়েকগুণ বাড়ে বলে জানিয়েছেন কল্যাণপুরে হানিফ পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মো. রাকিব। তিনি বলেন, যাত্রীদের চাপটা একটু বেশি। সম্পূর্ণ সিট পূরণ করে গাড়ি ছাড়ছে। এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের ভোগান্তি নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন। এদিকে অনলাইনে টিকিট না করেও কাউন্টার এসে টিকিট সংগ্রহ করে অনেককেই নিজ গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।