কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার নোয়াবাদ ইউনিয়নে সরকারি ইজারাকৃত ভূঁইয়া বাজার। গত পহেলা বৈশাখে বাজারটি ইজারা নেন স্থানীয় কুমারিয়া গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে মঞ্জিল মিয়া। বছরজুড়ে সোমবার ও বৃহস্পতিবার গরু-ছাগলের হাট বসে ভুঁইয়া বাজারে। কোরবানি ঈদ উপলক্ষ্যে শনিবার ও বুধবার গরু-ছাগলের হাট বসে। সরকারি কোনো ইজারা না থাকলেও ভূঁইয়া বাজারের পাশেই দরগা ভিটা বাজার সংলগ্ন উত্তর বালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে একই বার ধরে সারা বছর অবৈধভাবে হাট বসান স্থানীয় নয়ন মিয়া, সালাউদ্দিন, বিল্লাল, নুরুজ্জামান, দেলোয়ার, আবু তাহের মাস্টারসহ বেশ কয়েকজন।
গত শনিবার (২৪ জুন) হাটবারের দিন সরেজমিন ভুঁইয়া বাজারে গিয়ে দেখা যায় বাজার ফাঁকা পড়ে আছে। অথচ একই দিন পাশের দরগা ভিটা বাজারের স্কুলমাঠে বসেছে অবৈধ গরু-ছাগলের হাট। এতেকরে, ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অভিযোগ ভুঁইয়া বাজারের ইজারাদার মঞ্জিল মিয়ার। মঞ্জিল মিয়া জানান, আমি সরকারিভাবে ইজারা এনেছি। ভুঁইয়া বাজার থেকে সরকার রাজস্ব পাচ্ছে। আমার ইজারাকৃত বাজারের পাশেই স্কুলমাঠে একই হাটবারে অবৈধভাবে বাজার বসানোতে আমি খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করছি বারবার। কিন্তু কোনো সুফল পাচ্ছি না। কোরবানির ঈদে গরু-ছাগলের হাটের আশায় অনেক খরচ করে বাজারে খুঁটি পুঁতেছি, লাইটিং ব্যবস্থা করেছি। অথচ, স্কুলমাঠে অবৈধভাবে বাজার বসানোতে আমার ইজারাকৃত হাটে গরু-ছাগল নেই, খালি পড়ে আছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি আমি। না হয় সরকারকে যে রাজস্ব দিয়ে বাজার ইজারা এনেছি সব টাকা বিফলে যাচ্ছে।
স্কুলমাঠে গরু-ছাগলের অবৈধ হাট বসানোর বিষয়ে দরগা ভিটা বাজারের সভাপতি অভিযুক্ত নয়ন মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বছরের অন্যান্য সময় গরু-ছাগলের হাট আমরা বসালেও কোরবানি ঈদ উপলক্ষ্যে আমরা বসাইনি। পাশের এলাকার একটি মাদ্রাসার নামে হাট বসানো হয়েছে। এসব বিষয়ে করিমগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পলাশ কুমার বসুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দরগা ভিটা বাজারের পাশে স্কুলমাঠে যে গরু-ছাগলের হাট বসে তা অবৈধ। আমি খবর পেয়ে এসিল্যান্ড ও পুলিশ পাঠিয়ে হাট ভেঙে দিয়েছি। এছাড়াও ভবিষ্যতে যাতে এমন অবৈধ হাট না বসানো হয় তার নির্দেশ দিয়েছি আমি। নির্দেশ না মানলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।