‘পশু বেচাকেনায় অতিরিক্ত হাসিল আদায় করলে কঠোর ব্যবস্থা : র্যাব’
প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
অতিরিক্ত হাসিল গ্রহণ করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন, র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, কোরবানির হাটগুলোত হাসিল ঘর রয়েছে। অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের অভিযোগও এসেছে। অনেকে প্রতারিত হচ্ছেন। হাটগুলোতে আমাদের মোবাইল টিম কাজ করছে। গতকাল দুপুরে ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে রাজধানীর গাবতলী কোরবানির পশুর হাটে র্যাব কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও আমরা কোরবানির হাটে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। স্বনামধন্য যে হাটগুলো রয়েছে সেখানে হাট পরিচালনা কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা কন্ট্রোল রুম ও ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করেছি। কোরবানির হাট ও কোরবানির পশু বেচাকেনাকে কেন্দ্র করে আমরা বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। তিনি বলেন, কোরবানির হাটে প্রচুর কোরবানির পশু বেচাকেনা হয়, এ কোরবানির পশু বেচাকেনা কেন্দ্র করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম উপায়ে রাসায়নিক দ্রব্য খাইয়ে গরু মোটাতাজাকরণ করে অথবা অস্বাস্থ্যকর গবাদি পশু বিক্রি করেন। এসবের বিরুদ্ধে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায়, ভেটেনারি ডাক্তারের সমন্বয়ে র্যাব একটি টিম গঠন করে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে। বিভিন্ন হাটে এ টিম পর্যবেক্ষণে যাচ্ছে। কমান্ডার মঈন বলেন, কোরবানির হাটকেন্দ্রিক প্রচুর নগদ টাকার লেনদেন হয়; যেখানে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী জাল টাকা নিয়ে হাটে আসেন, লেনদেনের চেষ্টা করেন। এ হাটে আমরা জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন র্যাব কন্ট্রোল রুমে রেখেছি। আমরা কোরবানির ঈদ কেন্দ্র করে গত কয়েক দিনে ৫০-এর অধিক কারবারিকে আটক করেছি, যারা জাল টাকা কারবারে জড়িত। ৫০ লক্ষাধিক টাকার জাল টাকা জব্দ করা হয়েছে। সাধারণ ক্রেতা বিক্রেতাদের উদ্দেশে কমান্ডার মঈন বলেন, আপনারা যারা কোরবানির পশু হাটে ক্রয়-বিক্রয় করবেন, তারা নগদ লেনদেনের ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নেন, প্রয়োজনে লেনদেনের টাকা জাল কি না, তা মেশিনে শনাক্ত করুন। এতে করে আমরা জাল টাকা কারবারিদের আইনের আওতায় আনতে পারব। র্যাবের মুখপাত্র আরো বলেন, নারী ক্রেতা ও সাধারণ ক্রেতারা অনেক সময় ভোগান্তি ও হয়রানি শিকার হন, ইভটিজিংয়ের শিকার হন। কেউ প্রতারিত বা ভোগান্তির শিকার হলে র্যাব কন্ট্রোল রুমে অভিযোগ করুন আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।