ঢাকা ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নির্বাচনে সংবিধানের একচুলও ব্যত্যয় হবে না: তথ্যমন্ত্রী

নির্বাচনে সংবিধানের একচুলও ব্যত্যয় হবে না: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিএনপি যতই রূপরেখা দিক না কেন, সংবিধান অনুযায়ীই দেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধানের একচুলও ব্যত্যয় হবে না।

গতকাল দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো বর্তমান সরকারই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে। ভারত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, নিউজিল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র যেভাবে পালন করে, আমাদের দেশেও আমাদের সংবিধান অনুযায়ী ঠিক একইভাবে বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে। তারা যত ধরনের রূপরেখাই দেন না কেন, সংবিধানের একচুলও ব্যত্যয় হবে না।

ঈদের পর বিএনপির একদফা আন্দোলন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, একদফার আন্দোলন বিএনপি ২০১৩ সাল থেকেই শুরু করেছে। সেই আন্দোলনের নামে ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে দেশের মানুষ তাদের নৈরাজ্য দেখেছে। মানুষকে পুড়িয়ে মারার মহোৎসব আমরা দেখেছি। সেই পরিস্থিতি আমরা সামাল দিয়েছি। এখন বিএনপি কতটুকু কি করতে পারে, সেটা নিয়ে আমাদের ধারণা আছে।

তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া এখন ‘খাঁচায় বন্দি বাঘ’ আর তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশান্তরী পলাতক আসামি’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিবসহ তাদের অন্যান্য নেতৃত্ব কতটুকু কি করতে পারে, সেক্ষেত্রে কী করতে হবে- সেটা আমাদের জানা আছে। তাদের শক্তি-সামর্থ্য সম্পর্কে আমরা জানি। তাদের এসব কথা বাগাড়ম্বর ছাড়া অন্য কিছু নয়।

সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য ‘এই বাংলাদেশ তো আমরা চাইনি, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এমন একটা পরিবেশ দেখতে চাইনি’- এর জবাবে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি মহাসচিব অবচেতন মনে সত্য কথা বলেছেন। কারণ, উনি আর উনার বাবা বাংলাদেশটাই চাননি। ওনার বাবা ছিলেন পাকিস্তানপন্থি। ফখরুল সাহেব ক’দিন আগে বলেছিলেন- পাকিস্তানই ভালো ছিল। অর্থাৎ বাংলাদেশটাই উনি চাননি। আর উনি তো কোনোভাবেই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। দেশ স্বাধীনের পর তিনি অনেকদিন আত্মগোপনে ছিলেন।

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ- সিপিডি ও কয়েকজন অর্থনীতিবিদের কিছু মন্তব্যের সূত্র ধরে বিএনপির সমালোচনার জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘উনি যেসব সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের রেফারেন্স দিয়ে কথা বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তারা কোনোদিন দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো দেখেনি। কিন্তু তাদের এই ভালো না দেখার মধ্যেও আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু হয়েছে। মানুষের মাথাপিছু আয় ৬০০ ডলার থেকে ২৮০০ ডলারে উন্নীত হয়েছে। দারিদ্র্যের হার ৪১ থেকে ১৮ শতাংশে নেমেছে। দেশ স্বল্পোন্নত থেকে মধ্যম আয়ে উন্নীত হয়েছে, এখন জিডিপিতে বিশ্বের ৩৫তম ও পিপিপিতে ৩১তম, খুব সহসাই ২৭তম অর্থনীতির দেশে উন্নীত হবে। বিএনপি এগুলো কোনোদিন দেখেনি। তাদের চোখে ছানি পড়েছে কিম্বা না দেখার জন্য তারা চিকিৎসক দেখাতে পারেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত