ঈদের তৃতীয় দিনে গতকাল সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছিল। বৃষ্টি যেন দমিয়ে রাখতে পারেনি বিনোদনপ্রেমীদের। বৃষ্টি উপেক্ষা করে দূর-দূরান্ত থেকে চিড়িয়াখানায় এসেছেন দর্শনার্থীরা।
গতকাল দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত রাজধানীর মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানায় এমন চিত্র দেখা যায়। চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টি উপেক্ষা করে দর্শনার্থী আসলেও চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখতে পারেনি বেশিরভাগ মানুষ। বিভিন্ন ছাউনি ও গাছের নিচে দাঁড়িয়ে বৃষ্টি থামার অপেক্ষা করতে দেখা যায় দর্শনার্থীদের। বাঘ, ভল্লুক, সিংহ, হরিণ, বানর, জলহস্তী, জিরাপসহ বেশিরভাগ পশু পাখির শেডে ছিল দর্শনার্থীরা।
এছাড়াও বেশিরভাগ দর্শনার্থীদের ছাতি মাথায় দিয়ে ও রেইনকোট পরিধান করে চিড়িয়াখানা ঘুরতে দেখা যায়। কল্যাণপুর দুয়ারী মহল্লা থেকে পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছেন মো. আরমান। তিনি বলেন, সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছিল। গত দুই দিন আসতে পারিনি চিড়িয়াখানায় নানা ব্যস্ততায়। তাও আসলাম পরিবারের সদস্যদের নিয়ে। আজকে তেমন ঘুরে দেখতে পারলাম না বৃষ্টির কারণে। যতটুকু পেরেছি দেখেছি। জিনজিরা থেকে বউ-বাচ্চা নিয়ে ঘুরতে এসেছে পোশাক শ্রমিক মো. জিহাদ। হরিণের খাঁচার সামনে কথা হয় তার সঙ্গে।
তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে এবার গ্রামের বাড়ি যাইনি। ঢাকায়ও তেমন ঘুরতে যাওয়ার জায়গা না থাকায় চিড়িয়াখানায় বৃষ্টির মধ্যে ঘুরতে চলে আসলাম। গাজীপুর ধান গবেষণা থেকে এসেছে কলেজ পড়ুয়া দুই বন্ধু। মো. আবিদ বলেন, গত শুক্রবার দিন আসতে চেয়েছিলাম কিন্তু বৃষ্টির কারণে আসা হয়নি। সকালে কম বৃষ্টি ছিল তাই দুই বন্ধু মিলে চলে এসেছি চিড়িয়াখানায়। এখানের পশু-পাখিগুলো কেমন জানি মনমরা বৃষ্টির কারণে। ওরা ঠিকমতো চলাফেরাও করে না।
আর বৃষ্টি কাদায় একটু ঘুরতে কষ্ট হচ্ছে। এখন আবার বৃষ্টি নামছে। কোথাও দাঁড়িয়ে বৃষ্টি থামার অপেক্ষা করতে হবে। জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, বৃষ্টির কারণে দর্শনার্থী তেমন আসতে পারেনি। আমরা যেমন আশা করেছিলাম তার চেয়ে অনেক কম আসছে। আশা ছিল লক্ষাধিক দর্শক আসবে। বিগত কোরবানির ঈদের দ্বিতীয়-তৃতীয় দিনে দর্শনার্থী বেশি আসে তো। আজকে আমাদের দর্শনার্থী এসেছে মাত্র ৪০ হাজার। চিড়িয়াখানা সার্বিক পরিস্থিতি সবকিছু ঠিকঠাক আছে।