খাদ্যশস্য ধারণক্ষমতা ৩৫ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করা হবে

বললেন খাদ্যমন্ত্রী

প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নওগাঁ প্রতিনিধি

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশের খাদ্যগুদামে খাদ্যশস্য ধারণক্ষমতা ৩৫ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করা হবে। ২১ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য ধারণক্ষমতা আছে। বর্তমানে খাদ্যশস্য ২০ লাখের ওপর মজুত আছে। খাদ্যশস্য রাখার জায়গা হচ্ছে না বলে উল্লেখ করেন তিনি। গতকাল রোববার দুপুরে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার সরস্বতীপুর এলাকায় ১ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন নবনির্মিত এলএসডি’র উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে আটটি আধুনিক স্টিল সাইলো নির্মাণ করা হচ্ছে। এর কাজ প্রায় শেষের দিকে। এতে করে আরো সাড়ে ৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি সারাদেশে ৫ হাজার মেট্রিকটন ধারণ ক্ষমতার আরো ২০০টি পেডি সাইলো নির্মাণ করা হবে। এরই মধ্যে ৩০টি অনুমোদন হয়ে গেছে। মন্ত্রী বলেন, পেডি সাইলো নির্মিত হলে প্রান্তিক কৃষক সহজেই ধান সরবরাহ করতে পারবেন। কৃষক ভেজা ধান নিয়ে এলেও তা রাখার সুযোগ থাকছে। ভেজা ধান রাখলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা শুকিয়ে যাবে। ভেজার অভিযোগে আর কোনো কৃষকের ধান ফেরত নিয়ে যেতে হবে না। সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে টিসিবি ডিলারদের মাধ্যমে ১ কোটি পরিবারের মাঝে ৫ কেজি করে চাউল বিতরণ করা হবে। এতে করে বছরে ১ কোটি পরিবারের জন্য ৬ লাখ মেট্রিক টন চাল প্রয়োজন হবে। পাশাপাশি ওএমএস কার্যক্রম চলবে।

মন্ত্রী আরো বলেন, আগামী ৫ তারিখে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সবচেয়ে বড় একটি অর্জন হতে যাচ্ছে। খাদ্য উৎপাদন, বিপণন, সরবরাহসহ বিভিন্ন বিষয়ে একটি আইন সংসদে পাস হবে। এই আইন পাস হলে আশা করা যাচ্ছে সবার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য আইন হবে এবং খাদ্যশস্য বিপণন, সংরক্ষণ ও ছাঁটাই বিষয়ে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দিন তরফদার, রাজশাহী বিভাগের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জহিরুল ইসলাম খান, নওগাঁর জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাশিদুল হক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তানভীর রহমানসহ স্থানীয় প্রশাসন ও খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।