ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ফাঁকা ঢাকার রাজপথ নেই গাড়ির চাপ

ফাঁকা ঢাকার রাজপথ নেই গাড়ির চাপ

ঈদুল আজহার পাঁচ দিনের ছুটি শেষে গতকাল খুলেছে সরকারি-বেসরকারি অফিস। তবে এখনো রাজধানীর বেশিরভাগ রাস্তা ফাঁকা। রাস্তায় গণপরিবহন চলাচলে তেমন একটা চাপ নেই। পরিবহনকর্মীরা বলেন, স্বাভাবিক সময়ে ঢাকায় যে পরিমাণ গণপরিবহন চলে এখন তার অর্ধেকও রাস্তায় নেই। গণপরিবহনের চালক, হেলপার, সুপারভাইজার অনেকেই ঈদ করতে ঢাকা ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে গেছেন। তারা বলেন, চাকরিজীবীদের অনেকে ঈদ করতে গ্রামে যাওয়ার পর এখনো ফিরে আসেননি। এতে রাস্তায় গণপরিবহনের সংখ্যা কম হলেও যাত্রীরা সহজেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করতে পারছেন। গণপরিবহনে যাত্রীদের তেমন চাপ নেই। গত ২৯ জুন উদযাপন হয়েছে ঈদুল আজহা। ঈদ উপলক্ষ্যে ২৮, ২৯ ও ৩০ জুন নির্ধারিত হয় সরকারি ছুটি। এর সঙ্গে নির্বাহী আদেশে ২৭ জুন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এতে ঈদ উপলক্ষ্যে সরকারি ছুটি মেলে চার দিন। সরকারি ছুটি শেষে ১ জুলাই পড়ে গত শনিবার। ফলে আরো একদিন ছুটি বেড়ে যায়। টানা পাঁচ দিনের ছুটি শেষে গতকাল রোববার থেকে আবার অফিস শুরু হয়েছে। সাধারণত অফিস শুরুর আগে এবং অফিস ছুটির পর রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তায় যানজট লেগে যায়। রাজধানীর যানজটপ্রবণ অঞ্চলগুলোর মধ্যে অন্যতম রামপুরা। রামপুরা কাঁচাবাজার থেকে আবুল হোটেল পর্যন্ত যানজট নিত্যদিন লেগেই থাকে। এমনকি শুক্র-শনিবার সরকারি ছুটির দিনও যানজট লেগে থাকতে দেখা যায়। এ যানজটপ্রবণ রাস্তাটি এখন প্রায় ফাঁকা।

সকালে এ অঞ্চলের রাস্তায় যেমন পরিবহনের চাপ ছিল না, তেমনি বিকালেও পরিবহনের তেমন চাপ দেখা যায়নি। ফলে যানজট মুক্তভাবেই এ অঞ্চল দিয়ে যাতায়াত করা গেছে। ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনের চালক মো. জয়নাল হোসেন বলেন, যানজট আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। রামপুরা, বাড্ডা, কাকরাইল, পল্টন, গুলিস্তানে প্রতিদিনই যানজট লেগে থাকে। যানজটের মধ্যে গাড়ি চালাতে অনেক বিরক্ত লাগে। কিন্তু পেটের দায়ে সবকিছু মেনে নিয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমাদের ধারণা স্বাভাবিক সময়ে ঢাকায় যে গাড়ি চলাচল করে, এখন তার অর্ধেকও নেই। এ সপ্তাহে রাস্তায় গাড়ির চাপ কমই থাকবে। আগামী সপ্তাহ থেকে ঢাকা আবার চিরাচরিত যানজটে ফিরে যাবে বলে আমাদের ধারণা। কাকরাইল, পল্টন, গুলিস্তান ও মতিঝিল অঞ্চলের প্রতিটি রাস্তায় ফাঁকা দেখা গেছে। পল্টন মোড়ে কথা হয় আজমেরী গ্লোরী পরিবহনের চালক হামজার আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে যারা ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি গেছেন তাদের বেশিরভাগ ঢাকায় ফেরেনি। এ কারণে রাস্তায় মানুষের চলাচল কম এবং বাসের সংখ্যাও কম। রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ত অঞ্চল শাহবাগ মোড়ে গিয়েও দেখা যায়, রাস্তায় পরিবহনের খুব একটা চাপ নেই। মোটরসাইকেল, ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি, গণপরিবহন সীমিত পরিসরে চলছে।

শাহবাগ মোড়ে কথা হয় সিএনজি চালক খায়রুল হোসেন বলেন, ঈদের ছুটি শেষ অফিস খুলেছে। কিন্তু রাস্তায় মানুষের চলাচল কম। ধানমন্ডি, মতিঝিল, মহাখালীতে যাত্রী নিয়ে গেছি। কোথাও যানজট পড়তে হয়নি। রাস্তায় যেমন যানজট নেই, তেমনি যাত্রী সংখ্যা কম। আমাদের আয়ও হচ্ছে কম।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত