ঈদুল আজহার ছুটি শেষে গতকাল ঢাকামুখী মানুষের স্রোত দেখা গেছে। টানা কয়েক দিন ছুটির পর কর্মস্থলে যোগ দিতে গত শনিবার থেকেই ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবী মানুষরা। প্রথম দিন খুব বেশি চাপ না থাকলেও গত রোববার থেকে চাপ বাড়ে ট্রেনে। গতকাল ট্রেনগুলোতে ছিল উপচেপড়া ভিড়। তবে যাওয়ার সময় যতটুকু কষ্ট ছিল ঢাকায় ফেরার সময় তেমন ভোগান্তি হয়নি বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা। গতকাল সকাল থেকেই কমলাপুর রেলস্টেশনে ঢাকামুখী মানুষের স্রোত দেখা যায়। সকালে নীলফামারী থেকে আসা নীলসাগর এক্সপ্রেসে ছিল যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। সাড়ে ১০টার দিকে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা একতা এক্সপ্রেস প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করলেও স্টেশনে যাত্রীদের ঢল নামে। তবে নামার সময় তেমন কোনো তাড়াহুড়ো দেখা যায়নি যাত্রীদের। স্টেশন গেটে কঠোর অবস্থানে ছিল কর্তব্যরতরা। টিকিট চেক করে তারপর বের হতে দিচ্ছেন। টিকিটের সাথে এনআইডি ও মোবাইল নাম্বার চেক করতে দেখা গেছে। যারা টিকিট ছাড়াই ভ্রমণ করেছেন, তারা পড়ছেন জরিমানার মুখে। গত শুক্রবার সকাল থেকেই ফিরতি ট্রেন যাত্রা শুরু হয়েছে। গত শনিবার রাত পর্যন্ত কোনোরকম ভোগান্তি ছাড়াই স্বস্তিতে ঢাকায় ফিরেন মানুষ। খুব একটা ভিড় দেখা যায়নি। তবে চাপ বাড়তে দেখা যায় রোববার থেকে। এর আগে গত ২২ জুন থেকে ঈদযাত্রার ট্রেনের ফিরতি অগ্রিম টিকিট দেওয়া শুরু হয়। ২২ জুন দেওয়া হয় ২ জুলাইয়ের টিকিট। যথাক্রমে ২৩ জুন ৩ জুলাইয়ের, ২৪ জুন ৪ জুলাইয়ের, ২৫ জুন ৫ জুলাইয়ের ও ২৬ জুন ৬ জুলাইয়ের টিকিট দেওয়া হয় ফিরতি ট্রেনের টিকিট। এদিকে চার দিনের ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটি শেষে গতকাল রোববার খুলেছে ব্যাংক-বিমা, অফিস-আদালত ও শেয়ারবাজার। গত রোববার ছুটির পরের প্রথম দিন অনেকটা ঢিমেতালেই চলে। তবে আজ অফিসে কিছুটা প্রাণচাঞ্চল্য ফিরবে বলে আশা করা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার সারাদেশে পালিত হয় মুসলমানদের অন্যতম বড় উৎসব ঈদুল আজহা। ঈদের ছুটি একদিন বাড়িয়ে চার দিন করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ফলে ঈদ উপলক্ষ্যে ২৭ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত চার দিন ছুটি ছিল। এর পরের দিন ১ জুলাই সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে এবারের ঈদের ছুটি হয় পাঁচ দিন।