প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে সংবিধান মোতাবেক। বিএনপি যদি এই দাবি মেনে নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয় তবে তাদের সঙ্গে সংলাপ হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা উচ্চ আদালত বাতিল করেছে, তাই এটা নিয়ে বিএনপির সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না।’
গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষ ভবনে উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যবিষয়ক মন্ত্রী নাইজেল হাডলস্টন। পরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন সালমান এফ রহমান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে সেদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যবিষয়ক মন্ত্রী নাইজেল হাডলস্টন বাংলাদেশ সফর করছেন। আমরা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও ব্যবসা নিয়ে কথা বলেছি। যুক্তরাজ্য অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। আমরাও নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করেছি। সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সালমান এফ রহমান আরো বলেন, ‘যুক্তরাজ্য ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন চায়, সংলাপ চায়। আমরা গঠনমূলক সংলাপে প্রস্তুত রয়েছি, তবে নির্বাচন হবে সংবিধান মোতাবেক। নির্বাচনে অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো উপায় নেই, এটা বিএনপির উপলব্ধি করা দরকার।’
রুশ ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রোহিঙ্গা ইস্যু আড়ালে গেলেও মরে যায়নি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, বৈঠকে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে বিশ্ব দরবারে জনমত জোরদার এবং এ বিষয়ে মিয়ানমারের উপর চাপ সৃষ্টির প্রচেষ্টা নিয়ে কথা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাজ্য ১১ মিলিয়ন পাউন্ড দেবে বলে জানান তিনি।
যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণ নিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশ এয়ারবাস কিনতে চায়। জিএসপির পর ডিসিটিএস স্কিম বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যর বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে।
নাইজেল হাডলস্টন সাংবাদিকদের বলেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও উভয় দেশের অর্থনীতি বিকাশের লক্ষ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক তৈরিতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাজ্য। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের একটি দৃঢ় ও স্থায়ী সম্পর্ক রয়েছে। গত এক বছরে দেশটির সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেড়েছে। তিনি বলেন, ঢাকায় এটি আমার প্রথম সফর। শক্তিশালী বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক তৈরিতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার জন্য যুক্তরাজ্যের দৃঢ় অঙ্গীকার রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।