মাদকের সঙ্গে জড়িতদের ছাড় নেই

রংপুর মেট্রাপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান বলেছেন, মাদকের সঙ্গে জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না। রংপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় কোনো ধরনের মাদকসেবী ও মাদককারবারি ও ব্যবসায়ী থাকবে না। মাদক নিমূল করতে আমরা অভিযান শুরু করেছি। প্রভাবশালী যে কেউ হোক না কেন, কোনো ছাড় নেই। অন্যদিকে গতকাল রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২১ মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীকে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে নগরীর নবাবগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন। এ সময় সাংবাদিকদের মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন বলেন, মেট্রোপলিটন এলাকায় মাদকমুক্ত করতে এই বিশেষ অভিযান। এক দিনের অভিযানে ২১ জন মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীসহ মাদককারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সব থানায় একযোগে মাদকের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ও মাদকসেবনের সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের মধ্যে ২ কেজি গাঁজা, ২৩০ বোতল ফেনসিডিল ও একটি মোটরসাইকেল। রংপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় যতদিন পর্যন্ত একটিও মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীসহ মাদককারবারি থাকবে, ততদিন এ অভিযান চলবে। আগামী দুই মাসের মধ্যে রংপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় মাদকমুক্ত করার জন্য রোডম্যাপ নিয়েছি। সেই রোডম্যাপ নিয়ে আমাদের অভিযান কার্যক্রম চলবে। আবু মারুফ হোসেন বলেন, কোনো পুলিশ সদস্য যদি মাদক ব্যবসায়ী ও কারবারি বা মাদকসেবীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে তবে তথ্য পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যেভাবে মাদককারবারিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়, সেই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। পর্দার আড়াল থেকে যারা মাদক ব্যবসায়ী ও কারবারিদের লিড দিচ্ছে, তাদের বের করে মাদককারবারি হিসেবে চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের নবাগত পুলিশ কমিশনার মনিরুজ্জামান স্যার যে কোনো মূল্যে রংপুর মহানগরকে মাদকমুক্ত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এ বিশেষ মাদকবিরোধী অভিযান। প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা রংপুর মহানগর এলাকায় চলমান থাকবে। রংপুর মহানগর এলাকা মাদকমুক্ত হিসেবে রংপুর মহানগরবাসীর কাছে পরিগণিত না হওয়া পর্যন্ত এই বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ সময় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) উৎপল কুমার রায়, সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোতোয়ালি জোন) আরিফুজ্জামান, সহকারী পুলিশ কমিশনার (মাহিগঞ্জ জোন) সুব্রত ব্যানার্জি, নবাবগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রফিকুল ইসলামসহ পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলন শেষে মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীদের রংপুর মেট্রোপলিটন আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এসব মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করেছেন পুলিশ।