ঢাকা ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

হাটহাজারী-রাউজান মহাসড়ক

চার লেনের কাজ ৮৫ ভাগ শেষ

চার লেনের কাজ ৮৫ ভাগ শেষ

চট্টগ্রাম-রাঙামাটি জাতীয় মহাসড়কের হাটহাজারী থেকে রাউজান অংশ পর্যন্ত ১৮ দশমিক ৩ কিলোমিটার সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে ৮৫ শতাংশ। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে কাজ শুরু হয়ে ২০২১ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রকল্প সংশোধন করা হয়।

২০২২ সালের ১৯ জুলাই চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কের (এন-১০৬) হাটহাজারী থেকে রাউজান পর্যন্ত সড়কাংশ ৪ লেনে উন্নীতকরণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প একনেকে অনুমোদন পায়।

প্রস্তাবনা অনুযায়ী, প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে দেড় বছর এবং ব্যয় বেড়েছে ১১ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকা।

এর আগে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫২৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এখন ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩৩ কোটি টাকা। নির্মাণকাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এনডিএ ও স্পেকট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড।

এ প্রকল্পের আওতায় হাটহাজারী থেকে রাউজান রাবার বাগান পর্যন্ত ১০টি ব্রিজ, ২৮টি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। হালদা সেতু পেয়েছে নতুন রূপ। যে বাঁকগুলোতে দুর্ঘটনা ঘটতো, সেগুলো সোজা করা হয়েছে বলে জানান স্পেকট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের প্রকল্প ব্যবস্থাপক আনিসুর রহমান সোহেল। দেখা গেছে, সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে হাটহাজারী কলেজ গেট, উপজেলা পরিষদ, সুবেদার পুকুর, ইছাপুর, রুহুল্ল্যাপুর হয়ে রাউজান পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম গহিরা সর্তার ঘাট, পশ্চিম গহিরা, গহিরা চৌমুহনী, পূর্ব গহিরা, পশ্চিম সুলতানপুর, জানালী হাট, বেরুলিয়া, মুন্সির ঘাটা, জলিল নগর বাস স্টেশন, বাইন্যা পুকুর, চারা বটতল, ঢালার মুখ, রাউজান রাবার বাগান পর্যন্ত সাড়ে ১৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়ক ৮০ ফুট প্রশস্ত করে চার লেনে নির্মাণকাজ চলছে। রাখা হচ্ছে সড়ক বিভাজক। জানা যায়, এই প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণের পরিমাণ দশমিক ৩৮ হেক্টর বেড়ে যাওয়ায় খরচ বেড়েছে ২৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এছাড়া রিজিড পেভমেন্ট নির্মাণে দশমিক ৯০ কিলোমিটার বেড়ে যাওয়ায় খরচ বেড়েছে ১৫ কোটি ১২ লাখ টাকা। দুই লেন বিশিষ্ট গার্ডার সেতুর ১০ দশমিক ৯০ মিটার বৃদ্ধিতে খরচ বেড়েছে ১৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। চার লেন আরসিসি বক্স কালভার্ট ১০ মিটার বেড়ে যাওয়ায় ব্যয় বেড়েছে ৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। আরসিসি রিটেইনিং ওয়াল ২০০ মিটার বৃদ্ধিতে খরচ বেড়েছে ৪ কোটি ৭ লাখ টাকা। ইউ-ড্রেন কাম ফুটপাত ৩ হাজার মিটার বৃদ্ধিতে ব্যয় বেড়েছে ৫ কোটি ৭ লাখ টাকা। সাইন পোস্টের সংখ্যা ১১২টি বেড়ে যাওয়ায় ব্যয় বেড়েছে ৩ লাখ ৩৬ হাজার টাকা এবং কংক্রিট গাইড পোস্টের সংখ্যা ১ হাজার ২২০টি বেড়ে যাওয়ায় খরচ বেড়েছে ৫০ লাখ টাকা।

এছাড়া পেভমেন্ট প্রশস্তকরণের ক্ষেত্রে শূন্য দশমিক ৯০ কিলোমিটার কমলেও ব্যয় বেড়েছে ১৬ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। পেভমেন্ট মজবুতকরণে দশমিক ৯০ কিলোমিটার কমলেও ব্যয় বেড়েছে ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা। পেভমেন্ট উঁচুকরণে দশমিক ৯০ কিলোমিটার কমলেও ব্যয় বেড়েছে ২ কোটি ৫২ লাখ টাকা। সার্ফেসিং দশমিক ৯০ কিলোমিটার কমলেও ব্যয় বেড়েছে ২ কোটি ৮১ লাখ টাকা। হার্ড সোল্ডার নির্মাণে দশমিক ৯০ কিলোমিটার কমলেও ব্যয় বেড়েছে ৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।

পাশাপাশি ব্যয় বেড়েছে জেনারেল অ্যান্ড সাইট ফ্যাসিলিটিজে প্রায় ১৫ লাখ টাকা, রোড মিডিয়ানে ৪ কোটি ১২ লাখ টাকা, রোড সাইড ড্রেন নির্মাণে ১৪ লাখ ৫২ হাজার টাকা, ডাইরেকশনাল সাইনে ১ কোটি ৮ লাখ টাকা এবং ইউটিলিটি হস্তান্তরে দেড় কোটি টাকা। চট্টগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ ৮৫ শতাংশ শেষ হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত