পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মল্লিক সাঈদ মাহবুব বলেছেন, যমুনা নদীর ভাঙন রোধে অবিলম্বে বেড়িবাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে। গতকাল শনিবার সকালে সিরাজগঞ্জের চৌহালী ও টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার চরসলিমাদ ভূতের মোড়, সম্ভুদিয়া অংশের ভাঙন এলাকা পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, যমুনা নদীর তীরবর্তী এ দুই উপজেলার ভাঙন রোধে প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের সমীক্ষা চলমান রয়েছে। এরইমধ্যে ৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার একটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন।
যমুনার পানি হ্রাস পেলে স্থায়ী কাজ শুরু করা হবে। প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন হলে নদীভাঙন থাকবে না। যমুনা নদীর ভাঙন রোধে পাড় থেকে দেড় থেকে দুইশ’ ফিট দূরে এ বাঁধ নির্মাণ করা হবে। এতে স্রোতের ধাক্কা বা আঘাত সরাসরি পাড়ে লাগবে না এবং ভয়াবহ ভাঙনের সৃষ্টি হবে না। পলি মাটি পড়ে ওই জায়গায় ক্রমাগতভাবে চর পড়ে যাবে। এরইমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় এভাবে কাজ করা হয়েছে। যমুনার গতিপথ সোজা রাখা হবে নদী শাসনের মাধ্যমে। বাংলাদেশ নদী মাতৃক দেশ। যুগের পর যুগ নদী ভাঙে ও গড়ে। নদীর বিভিন্ন জায়গায় চর ও ডুবোচর জেগে ওঠে। বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রাকৃতিকভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে। যারা সমৃদ্ধশালী দেশ তারাই জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী। এ কারণে আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে এবং ভুক্তভোগী হচ্ছে বাংলাদেশ। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোবারক হোসেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান, চৌহালী উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন, নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ওহিদুজ্জামান, পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিল্টন হোসেন, ওসি হারুনর রশীদ, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম মোল্লা, সাহিদুল ইসলাম অপু ও অনান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।