মেহেন্দিগঞ্জে নালা কাটায় ধসে পড়ল রাস্তা

দুর্ভোগে এলাকাবাসী

প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  বরিশাল ব্যুরো

বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কাজিরাবাদ এলাকায় সরকারি ভিপি সম্পত্তি ডিসিয়ার নিয়ে জমির মাটি কেটে বিশাল নালা করায় রাস্তা ভেঙে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। ওই সম্পত্তির মাটি কেটে বিশাল নালা করায় জনসাধারণের জন্য চলাচলের রাস্তাটি ইতিমধ্যেই দুই-তৃতীয়াংশ ভেঙে গেছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ওই জমির ওপর থাকা পুরো রাস্তাটিই বিলীন হয়ে যাবে বলে জানান এলাকাবাসী।

ডিসিয়ার কেটে জমির মালিক দাবিদার কাজিরাবাদ গ্রামের রফিক চৌধুরী ওরফে নাগর চৌধুরী স্থানীয় আওয়ামী লীগের নামধারী নেতা হওয়ায় তার অপকর্মের প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেন না এলাকাবাসী। তবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু রাশেদ জানান, নাগর চৌধুরী ডিসিয়ারভুক্ত সম্পত্তিতে নালা কাটার উদ্যোগ নিলে তিনি নিজেই তাকে বারন করেছিলেন। গভীর নালাকাটার কারণে রাস্তা ভেঙে গেলে তিনি ওই রাস্তা রিপিয়ার করে দেবার কথা বললেও অভিযুক্ত নাগর চৌধুরীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যাবস্থা নেওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যান।

লিজ নেওয়া ভিপি সম্পত্তি ভোগদখল নিয়ে একাধিক ব্যক্তির সাথে বিরোধে জড়ান।

সম্প্রতি তিনি ওই সম্পত্তির ওপর দিয়ে যাওয়া একটি কাচা সড়কের কোলঘেঁষে বিশাল নালা কাটেন। নালা কাটার কারণে বৃষ্টিতে গত দুই দিনের মধ্যে ওই কাচা রাস্তা গর্তের মধ্যে ধসে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দা মো. জুয়েল সরদার বলেন, নাগর চৌধুরীর কারণে আজ এলাকার মানুষ চরম ভোগান্তির মধ্যে পরেছেন।

তিনি বলেন, ভিপি সম্পত্তি লিজ নিয়ে তিনি তার ইচ্ছে মতো ওই সম্পত্তির ওপর দিয়ে চলে যাওয়া রাস্তাঘেঁষে বিশাল গর্ত তৈরি করেছেন। এসময় এলাকাবাসী বাধা দিলেও তার প্রভাবে নালা কাটা আটকানো যায়নি। এমনকি ইউপি চেয়ারম্যানও তাকে রাস্তা ঘেষে নালা তৈরি করতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু তার কথাও শোনেন নি নাগর চৌধুরী।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত রফিক চৌধুরী ওরফে নাগর চৌধুরী বলেন, আমি নিয়মের মধ্যে থেকেই ভিপি সম্পত্তিতে নালা কেটেছি। তিনি বলেন, পুরো রাস্তাটিই আমার রেকর্ডীয় সম্পত্তির ওপর দিয়ে গেছে। আমার জায়গায় আমি যা করছি, তাতে অপরে অভিযোগ করার যৌক্তিকতা নেই। তবে জনগণের চলাচলের রাস্তা ক্ষতি করার অধিকার আছে কি না, এ বিষয়ে কোনো সদোত্তর দেননি তিনি।

সরকারি ভিপি সম্পত্তির ওপর থাকা রাস্তা ক্ষতি সাধন করা কিংবা জমির আকৃতি পরিবর্তন করা বিষয়ে জানতে চেয়ে উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।