ঢাকা ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ট্রলারে ১০ খুন

ডিএনএ পরীক্ষার পর তিন মরদেহ হস্তান্তর

ডিএনএ পরীক্ষার পর তিন মরদেহ হস্তান্তর

কক্সবাজারের নাজিরারটেক উপকূলে ট্রলার থেকে ১০ মরদেহ উদ্ধারের পর পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্ত থাকা চারজনের মধ্যে তিনজনের পরিচয় ডিএনএ পরীক্ষায় নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। গতকাল রোববার বিকালে ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল মতে এ তিনটি মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অপর মরদেহটি আদালতের অনুমতি পাওয়ায় আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফনের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মামলাটির তদন্তকারি কর্মকর্তা কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শক দুর্জয় বিশ্বাস। শনাক্ত হওয়া তিনজন হলেন- কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়নের বড় চৌধুরীপাড়া এলাকার মৃত আবদুল আজিজের ছেলে শাহ আলম (৫৪), মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়ার ঝাপুয়া এলাকার তাজুল মুল্লুকের ছেলে মো. ইকবাল (২৭) ও কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়নের রোমাইপাড়ার মৃত আবু সৈয়দের ছেলে মেজবাহ উদ্দিন (৫০)।

গতকাল বিকাল ৪টায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বজনদের মরদেহ তিনটি হস্তান্তর করা হয়। এ সময় মামলাটির তদন্তকারি কর্মকর্তা ছাড়াও কক্সবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, কক্সবাজার সদর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম, কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. আশেকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শক দুর্জয় বিশ্বাস জানান, শাহ আলমের মরদেহটি তার ছেলে মামুনুর রশিদ, মো. ইকবালের মরদেহটি তার ভাই তারেক ও মেজবাহ উদ্দিনের মরদেহটি ছেলে আবু সাইদ মো. জিসান গ্রহণ করেছেন। তিনি জানান, গত ২৩ এপ্রিল ট্রলার থেকে ১০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ছয়টি মরদেহ শনাক্ত হওয়ার পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অপর চারটি পরিচয় নিশ্চিত হতে সংগ্রহ করা হয় ডিএনএ নমুনা। একই সঙ্গে নিখোঁজ থাকা স্বজনদের অনেকের ডিএনএ নমুনাও সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। এতে এ ঘটনায় শুরু থেকে চার মরদেহ জোর দাবি করা স্বজনদের সঙ্গে মিলেনি ডিএনএ। তাই এ ঘটনায় চারজন এখনও নিখোঁজ হিসেবে ধরা হচ্ছে। এই চারজন হলেন- শাপলাপুর ইউনিয়নের মিঠাছড়ি গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৮), সাহাব মিয়ার ছেলে সাইফুল্লাহ (২৩), মোহাম্মদ আলীর ছেলে পারভেজ মোশাররফ (১৪) ও চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের কবির হোসাইনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৪)। মরদেহ হস্তান্তরের সময় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে এই চারজনের স্বজনদের মধ্যে তিনজন না এলেও শাপলাপুর ইউনিয়নের মিঠাছড়ি গ্রামের সাহাব মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত